নিজস্ব প্রতিবেদন : 'নিরাপত্তা পেলে বিজেপিতে যোগদান করতে চাই।' এমন মর্মে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নাকি চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। এই খবর সামনে আসতেই ফের আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে শুধু নাকি দেবশ্রী রায় একা নন, বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিছি দিয়েছেন ১০৮ জন তৃণমূল বিধায়ক। এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন অমিত শাহকে দেবশ্রী রায়ের চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে মুকুল রায় বলেন, "আমি তো যত দূর জানি অমিত শাহ ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি। শুধু দেবশ্রী কেন প্রায় ১১০ জন লোক চিঠি দিয়েছেন। সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেসও আছে।" এরপরই তাঁর আরও সংযোজন, "আমি তো আগেই তালিকা দেখিয়েছিলাম। তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আসতে চাইছেন ১০৮ জন বিধায়ক।" আর এই প্রসঙ্গ টেনেই মুকুল রায় দাবি করেন, আগামি নির্বাচনেও ছবিটা আরও পরিষ্কার হবে। বিজেপি আরও আসনে জিতবেন।



প্রসঙ্গত, এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর বিজেপি থেকে তৃণমূলে 'বাপসি' করেন। আর তারপরই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, ভাটপাড়া পুরসভা পুনর্দখল করছে তৃণমূল। তিনি তোপ দাগেন, আহমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চালানো হয়েছে ভাটপাড়ায়। আর গুন্ডামি চলবে না। ১৭ জন কাউন্সিলর নিয়ে খুব শিগগিরই ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।


আরও পড়ুন, 'আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে ভাটপাড়ায়', অর্জুনের থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নিয়ে তোপ ফিরহাদের


আরও পড়ুন, আগামিকালই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শোভন? তুঙ্গে জল্পনা


যদিও পুরমন্ত্রীর দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন মুকুল রায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, "ভাটপাড়ায় বিজেপির বোর্ড আছে, ছিল ও থাকবে।" বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ করেন, বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধরে যেভাবে পুলিস শাসক দলের হয়ে কাজ করছে, সামলানো যাচ্ছে না। তিনি দাবি করেন, "কেউ স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যাচ্ছেন না। সবাই ভয়ে গিয়েছেন। মিথ্যা মামলার ভয়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন।" জোর গলায় বলেন, "যেখানে যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতেছে, আগামী দিনেও জিতবে।"