'আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে ভাটপাড়ায়', অর্জুনের থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নিয়ে তোপ ফিরহাদের
"ভাটপাড়ায় আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে। একজন এমপি বলেছিল ভাটপাড়া মুক্তাঞ্চল হয়ে যাবে। সন্ত্রাস চলছিলো ধর্মীয় স্থান থেকে সব জায়গায়। মনে হচ্ছিল আলাদা হয়ে যাবে এই জায়গা।"
!['আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে ভাটপাড়ায়', অর্জুনের থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নিয়ে তোপ ফিরহাদের 'আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে ভাটপাড়ায়', অর্জুনের থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নিয়ে তোপ ফিরহাদের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/11/06/217086-11.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাটপাড়ায় আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলছিল। ভাটপাড়া পুরসভা পুনর্দখলের পথ প্রশস্ত হতেই তোপ দাগলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। স্পষ্ট জানালেন, খুব শিগগিরই ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আজই বিজেপিতে যোগদানকারী ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে 'বাপসি' করেন। এরফলে বর্তমানে ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা হল ১৭।
৩৫ ওয়ার্ডের ভাটপাড়া পুরসভায় সাংসদ হওয়ার পর পদত্যাগ করেন অর্জুন সিং। একজন কাউন্সিলর এই মুহূর্তের জেলে রয়েছে। আরেকজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ বোর্ডে এই মুহূর্তে ৩২ জন কাউন্সিলর। এরমধ্যে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ২৩ জন। আর বিজেপির ছিলেন ৯ জন। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর গেরুয়া ঝড়ে এই ২৩ জনের মধ্যে ৫ জন ছাড়া বাকি সবাই পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। ফলে ভাটপাড়া পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা হয় ২৬ জন। অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে আসে।
কিন্তু রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সবসময় নাটকময়। তাই কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের পালাবদলের অপেক্ষায় ভাটপাড়া পুরসভা। যে ১৮ জন কাউন্সিলর অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারমধ্যে ১২ জনই এদিন ফের তৃণমূল 'বাপসি' করেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতেই তাঁরা এদিন ফের তৃণমূলের পতাকার তলায় আসেন। আর এরপরই ভাটপাড়া পুরসভা তৃণমূল পুনর্দখল করছে বলে সুর চড়িয়েছেন পুরমন্ত্রী। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে, আজকের যোগদানের ফলে এই মুহূর্তে ৩২ জনের ভাটপাড়া পুরবোর্ডে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ১৭। আর বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪।
যোগ -বিয়োগের খেলায় ভাটপাড়া ভাটপাড়া পুরসভা পুনর্দখলের পথ পরিষ্কার হয়ে উঠতেই ফিরহাদ হাকিম তোপ দাগেন, "ভাটপাড়ায় আমেদাবাদের মতো সন্ত্রাস চলেছে। একজন এমপি বলেছিল ভাটপাড়া মুক্তাঞ্চল হয়ে যাবে। সন্ত্রাস চলছিলো ধর্মীয় স্থান থেকে সব জায়গায়। মনে হচ্ছিল আলাদা হয়ে যাবে এই জায়গা। গুন্ডামি চলছিল। সেই ভাটপাড়া শান্ত হয়েছে।"
আরও পড়ুন, বিড়লা সাম্রাজ্যের শতবর্ষে ফিরে দেখা চটকল নগরী বিড়লাপুরকে
একইসঙ্গে তিনি জানান, "বহু কাউন্সিলর ভয় পেয়ে চলে গিয়েছিল। এমপি-র অত্যাচারে কাউগাছি পঞ্চায়েত থেকে ৭ জন বিজেপিতে গিয়েছিল। সেই কাউগাছি পঞ্চায়েত আবার তৃণমূল দখল করেছে। পাশাপাশি পানপুর পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে এসেছে। এবার ভাটপাড়া পুরসভা। গুন্ডা দিয়ে পুরসভা চালানো যায় না। গুন্ডামি মানছি না, মানব না। অবিলম্বে ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা আনব।" উল্লেখ্য, এদিন জগদ্দল পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজনও ফের তৃণমূলে যোগদান করেন।