নিজস্ব প্রতিবেদন: এক গদ্দার তৃণমূলের বিধায়ক-সাংসদদের ফোন করে দলে টানার টোপ দিচ্ছে বলে প্রায়শই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এবার মুকুল রায় পাল্টা দাবি করলেন, তৃণমূল নেতাদের ফোনের জেরে বিরক্ত হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা ও অর্জুন সিংকে বিজেপিতে এনেছেন মুকুল রায়। তাঁর হাত ধরে এসেছেন শঙ্কুদেব পন্ডাও। ভোটের পর তো সাত দফায় তৃণমূল ভাঙার হুঙ্কার দিয়েছেন মুকুল ও কৈলাস। ইতিমধ্যেই একাধিক পুরসভার কাউন্সিলর ও বেশ কয়েকজন বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ভোটের আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে আসছেন, তাঁর কাছে খবর আছে, দলের নেতাদের ফোন করে বিরক্ত করছেন এক গদ্দার। মোটা টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দিচ্ছেন। 


এদিন তৃণমূল নেত্রীর দাবি নস্যাত্ করেন মুকুল রায়। বলেন,'একেবারেই উল্টো। বিজেপি নেতাদের কাছেই ফোন আসছে। তৃণমূলের নেতারা ফোনে বলছেন, আমাকে কবে নেবেন? সত্যি বলছি, আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এত ফোন আসছে'।           



এদিন তৃণমূল নেত্রীকে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও খোঁচা দেন মুকুল। অতিসম্প্রতি ওই সম্মেলন এক বছরের পরিবর্তনে ২ বছর অন্তর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুকুল রায়ের বক্তব্য, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত রাজ্য সরকারের। সম্মেলনের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে, শিল্পে কত লগ্নি হয়েছে, তা জানাতে হবে মানুষকে। আর ২ বছর নতুন সরকার হয়তো শিল্প সম্মেলন করবে।


আরও পড়ুন- রাস্তা আটকে পুজোয় বিধি নিষেধ নেই, আগের নিয়মই বহাল, জানাল কলকাতা পুলিস


সরকারি ব্যয় সংকোচের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের কথায়,'এটা তৃণমূলের দ্বিচারিতা। একদিকে বিধায়কদের ভাতা বাড়াচ্ছে, অন্য দিকে বলছেন রাজকোষে ঘাটতি। ৭৫ শতাংশ কাটমানির টাকা ফেরত দিলেই তো সংকট কেটে যেতে পারে'।   


আরও পড়ুন- বাজেট উন্নয়নমুখী, নাগরিকবান্ধব ও ভবিষ্যত দিশারি, প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী