নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় আইনের শাসন নেই। আজকের স্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুণি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। ডায়মন্ড হারবারে হামলার ঘটনার পর এমন দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে ইটের ঘায়ে মুকুলের গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে বলে অভিযোগ। দিলীপ ঘোষের দাবি, গণহত্যার চক্রান্ত ছিল। ভারতীয় রাজনীতির কালো দিন।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়ে নাড্ডার কনভয়। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। এ দিন মুকুল রায় বলেন,'বাংলায় আইনের শাসন নেই। সরকার নামে আছে। সারা বাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব। একদলীয় সরকার চলছে। নতুন করে কিছু বলার নেই। এক্ষুণি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা দরকার।' 



বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়,'গণহত্যার চক্রান্ত ছিল। যেভাবে দুষ্কৃতীদের টিএমসি রাস্তায় রাস্তায় জমায়েত করে ইটপাটকেল-লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেছে, তা নজিরবিহীন। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সভাপতিও সুরক্ষিত নন। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়াতেও এমন হয় না। নিন্দার কোনও ভাষা নেই। গণহত্যার চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। ৫-৬ জন নেতা আহত হয়েছেন। ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। ৫০টি বাইক লুঠ করে নিয়েছে। সেই বাইক কীভাবে উদ্ধার হবে, আমরা জানি না। ভারতীয় রাজনীতির কালো দিন। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারকে এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।'      


মানুষের স্বতঃফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় পুলিসকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,' মুকুলের বক্তব্যের গুরুত্ব নেই। জনপ্রতিনিধি নন। বিজেপিতে গিয়ে উগ্রতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। বাধা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হলে অন্য কথা।'


আরও পড়ুন- নৌটঙ্কি করছে যাতে ন্যাশনাল নিউজে দেখায়, দেখো আমায় মেরেছে, আহারে!: মমতা