ফের তৃণমূলে মুকুল রায়? জি ২৪ ঘণ্টাকে কী বললেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ?
বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে মুকুল রায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছিল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
অঞ্জন রায়
বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ফের পুরনো দলে মুকুল রায়? এই খবরে টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, দলের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন মুকুল রায়। যদিও দুজনের সাক্ষাত্ হয়নি তবে জল্পনা তৈরি হয়েছে, মুকুলপুত্রকে দেখতে হঠাত্ মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে আগমন নাকি মুকুল-মমতা নৈকট্যের সংকেত দিচ্ছে? এই জল্পনা শুক্রবার উড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। স্পষ্ট করলেন, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদককে মুকুল রায় বলেন, ''তৃণমূলে যোগদানের কোনও প্রশ্নই নেই। এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আমার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈর করাই লক্ষ্য''।
তাহলে এই খবরের সত্যতা নেই?
না, একেবারেই নয়। তৃণমূলকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে এসেছি। কেন তৃণমূলে যাব? আমি লক্ষ্যে অচল'', বললেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলেই। অসুস্থ শুভ্রাংশু রায়কে দেখতে হাসপাতালে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জল্পনা উস্কে দেয়, বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ফের তৃণমূলে যেতে পারেন মুকুল। ওই সংবাদপত্রের এহেন প্রতিবেদনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের বাক্ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বিজেপি। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপিকে বদনাম করতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। লেখাটি পোর্টাল থেকে সরিয়ে ফেলে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
টুইটারে মুকুল রায় লিখেছেন, তাঁর তৃণমূলে যোগদানের খবরটি ভুয়ো, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সম্পাদককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। এখনও পর্যন্ত দলের আনুষ্ঠানিক কোনও পদ পাননি। তবে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সমিতিতে ঠাঁই পেয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।