নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই লন্ডনে বাণিজ্য সম্মেলনের যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন মুকুল রায়। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই লন্ডনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উইম্বলডনে নিবেদিতার জন্মের সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তবে দুটি অনুষ্ঠানের সময় আলাদা। ১২ নভেম্বর লন্ডনে নিবেদিতার বাড়িকে ব্লু প্লাক বা হেরিটেজ ঘোষণার অনুষ্ঠানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুকুল ডাক পেয়েছেন ১৭ নভেম্বর বাণিজ্য সম্মেলনে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লন্ডনে ব্রিটিশ সংসদের পোর্টকলিস হাউসে হতে চলেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান বিজনেস ফোরামের 'ইনভেস্ট ইন নিউ ইন্ডিয়া' শীর্ষক একটি বাণিজ্য সম্মেলন। ১৭ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা। হরিয়ানার মন্ত্রী রামবিলাস শর্মা ও বিভিন্ন সংস্থার কর্ণধাররাও রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়। ভারতীয়দের সঙ্গে আমন্ত্রিতের তালিকায় ব্রিটিশ শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদরাও রয়েছেন। এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন মুকুল রায়। তবে তিনি লন্ডনে যাবেন কিনা, তা জানাননি। 


গত শুক্রবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে 'ফুটেছেন' মুকুল। এরমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ আসল মুকুলের দুয়ারে। বর্তমানে তিনি বিজেপির কোনও সাংগঠনিক পদে নেই। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে তাঁর এই আমন্ত্রণপ্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে অবশ্য মুকুলকে প্রবীণ বিজেপি নেতা, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ব্রিটেন ও ইউরোপের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্কের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সম্মেলন। মুকুল রায়ের বর্তমান প্রোফাইলের সঙ্গে তা একেবারে খাপ খাচ্ছে না। খানিকটা বেমানানই তিনি।  বরং বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও আমন্ত্রণপত্র পেতে পারতেন। ফলে মুকুলের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 



এদিকে, গুজরাটে বিধানসভা ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন মুকুল রায়। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডাও তাঁকে সে রাজ্যে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় মুখ হিসেবেই ব্যবহার করতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের বাইরেও মুকুলকে সর্বভারতীয় স্তরে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি এমনই মনে করছে মুকুলের ঘনিষ্ঠমহল। 


আরও পড়ুন, নারদকাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা মুকুল রায়ের