নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারির পর ঘুরেফিরে আসছে মুকুল রায়ের নাম। তত্কালীন তৃণমূল নেতার সঙ্গে এসএমএইচ মির্জার সুসম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। সাংবাদিক বৈঠকে বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করলেন, তাঁকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নারদকাণ্ডে এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মির্জা-মুকুল যোগের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এদিন মুকুল রায় বলেন,''আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। নিজের ইচ্ছায় তদন্ত করছে না। তদন্তের সাপেক্ষে যেটা প্রয়োজন করবে সেটাই করবে।'' 



নারদকাণ্ডে তো আপনার নাম জড়িয়েছে? মুকুলের বক্তব্য, আমি সেই সময় নির্বাচনে দাঁড়ায়নি। অনেক ছবি প্রতিটা টিভি দেখিয়েছে কোথাও আমাকে কেউ দেখাতে পারেনি। আমি টাকা নিইনি। 


কিন্তু আপনিই তো মির্জার কাছে পাঠিয়েছিলেন? মুকুলের জবাব, ওরা ব্যবসার জন্য এসেছিলেন। আমি তখন মির্জার সঙ্গে দেখা করতে বলি। কোনও টাকা লেনদেনের কথা বলিনি।


কিন্তু ব্যবসার জন্য পুলিস সুপারের কাছে পাঠালেন কেন? মুকুলের ব্যাখ্যা, ওরা বর্ধমানে ব্যবসা করতে চেয়েছিল। জমি-জায়গা পেতে গেলে পুলিস সুপারদের লাগে।


একইসঙ্গে নারদকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন মুকুল রায়। তাঁর কথায়, ''নারদ-সারদা দুটো আলাদা মামলা। গরিব মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। নারদা ঘুষের মামলা। দুটোই আইনের চোখে অপরাধ। আমি চাই সত্য উদঘাটন হোক অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হোক।''


বলে রাখি, নারদাকাণ্ডে ১৩ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মির্জাই একমাত্র সরকারি আমলা। তাঁকে মোট ৭ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই। আজ, বৃহস্পতিবার অষ্টম দফায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়। মির্জার জবাবে সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারীরা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মির্জাকে ৫ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত।


আরও পড়ুন- লড়াই সবে শুরু, নারদাকাণ্ডে মির্জার গ্রেফতারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়া ম্যাথুর