কমলিকা সেনগুপ্ত:  বিজেপি নেতা মুকুলের ‘এখনও তৃণমূল’ পুত্রকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই রাজ্য রাজনীতিতে। শুভ্রাংশু রায়ও কি তাঁর বাবার পথেই হাঁটবেন, এ সংক্রান্ত গুঞ্জনই এখন রাজনৈতিক মহলের আনাচে কানাচে। আর এসবের মধ্যেই আজ আরও একবার নিজের ‘অবস্থান স্পষ্ট করলেন’ বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৪ ঘণ্টাকে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু বলেন, দলে আছি, দলে থাকব।  তবে দল যে তাঁর উপর খুব একটা আস্থা রাখছে না, তাও হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন তরুণ শুভ্রাংশু। ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই এদিন মুকুল পুত্রের গলা থেকে বেরিয়ে আসে দলেরই এক হেভিওয়েট নেতার প্রতি শ্লেষ এবং জমে থাকা অভিমানের কথা।


আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলাম : সুব্রত মুখোপাধ্যায়


দু’দিন আগের কথা। শুভ্রাংশুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যখন জল্পনা শুরু হয়েছে, সে সময় গোটা বিষয়ে যবনিকা টানতে চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কোন সংশয় না রেখেই বর্ধমানের কল্পতরুর মাঠে দাঁড়িয়ে  জ্যোতিপ্রিয় জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুভ্রাংশু বাবার পথেই বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন!


উল্লেখ্য, গত সোমবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মিটিংয়ে শুভ্রাংশুর অনুপস্থিতি তাঁর দলত্যাগের বিষয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিল দলের অন্দরে। কিন্তু এদিন সব জল্পনার অবসান ঘটালেন শুভ্রাংশু স্বয়ং। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও বিধানসভায় হাজির হন শুভ্রাংশু রায়। বেরনোর পথেই তিনি মুখোমুখি হন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির সঙ্গে।  সেখানেই আরও একবার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন মুকুল পুত্র। একান্ত সাক্ষাত্কারে শুভ্রাংশু বললেন, ‘’আমি দলে আছি-থাকব। দল যদি আমাকে ব্যবহারযোগ্য মনে না করে, তবে সমর্থক হয়েই থাকব।‘’


এদিন কথা বলার সময়ে বেশ কিছু অভিমানও ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। জানান, আজ বিধানসভাতে কীরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। কথার বলার ফাঁকেই জানান, কীভাবে অত্যন্ত পরিচিত মুখগুলোও তাঁকে এড়িয়ে গিয়েছেন বিধানসভায়, কেউবা কেবলই নিয়মমাফিক সৌজন্য বিনিময় করেছেন! দলেরই পরিচিত মানুষগুলোর কাছ থেকে এদিন বিধানসভায় আন্তরিকতার লেশমাত্র খুঁজে পাননি শুভ্রাংশু। অভিমান তো বটেই, দলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে শ্লেষও বেরিয়ে আসে কথায় কথায়। শুভ্রাংশু জানান, ‘’ এতদিন যাঁরা অভিষেকের বিরুদ্ধে আমার বাবার কাছে বলত, তাঁরাই এখন আমার নামে বলছেন।‘’


আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি


তবে, দল যে তাঁর প্রতি কিছুটা হলেও আস্থা হারিয়েছে, তা বেশ বুঝতে পারছেন শুভ্রাংশু নিজেও। তৃণমূলের মধ্যেই যে শুভ্রাংশুকে নিয়ে ষোলো আনা সংশয় রয়েছে সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেছে খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের সভাপতির মন্তব্যের পর। কিন্তু তবুও দলের প্রতি তিনি যে আজও অনুগত তা বোঝাতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছেন না মুকুলপুত্র।