Mukul Roy: বিজেপিতেই রয়েছেন মুকুল রায়, PAC চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুনানিতে সওয়াল তাঁর আইনজীবীর
শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের আইনজীবীরা যা বলেছেন তার একটা উত্তর তাঁরা দেবেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায়ের PAC চেয়ারম্যান পদ খারিজ নিয়ে ফের শুনানি হল বিধানসভায়। হাজির ছিলেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা।
পিএসি(PAC) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২ সপ্তাহের মধ্যে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে হওয়া মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশের পর বুধবার এনিয়ে শুনানি ছিল বিধানসভায়। এর আগে এনিয়ে শুনানি হয়েছিল গত ১৪ জানুয়ারি। মুকুল রায়ের ওই পদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
এদিনে মুকুল রায়ের তরফে বক্তব্য শেষ করলেন তাঁর আইনজীবীরা। মুকুল রায়ের আইনজীবীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই ছিলেন এবং বিজেপিতেই রয়েছেন। একদিনের সৌজন্য সক্ষাতকে ধরে কোনও ভাবেই বলা যায় না যে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গলায় কোনও দলের উত্তরীয় পরার অর্থ এই নয় যে তিনি ওই দলের সদস্য। বিজেপিও মুকুল রায়কে সাসপেন্ড করেনি। সম্প্রতি বেশি কিছুদিন ধরে মুকুল রায় প্রকাশ্যে বিজেপির স্বপক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় বলেছেন বিজেপি আগামীতে বিভিন্ন ভোটে বিপুল ভোটে জিতবে। কারণ বিজেপি বর্তমানে ভালো জায়গায় রয়েছে। এসব থেকেই স্পষ্ট, এখনও মুকুল রায়(Mukul Roy) বিজেপিতেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন-ঘরে ডেকে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় হানা পুলিসের
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের আইনজীবীরা যা বলেছেন তার একটা উত্তর তাঁরা দেবেন। তার জন্য তাঁরা সময় চেয়েছেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি এনিয়ে তাদের বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা। ফলে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান(PAC Chairman) পদ খারিজের যে মামলা চলছিল তার শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ভবনে গিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুকুল রায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে দেন। তার পর অতিসম্প্রতি তিনি বিজেপির হয়ে একাধির বক্তব্য রাখছেন। এতে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু ও তৃণমূল নেতারা এর পেছনে তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকেই দায়ী করছেন।