নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত, লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোটেও বাংলায় গেরুয়া ব্রিগেডকে জয়ের পথ দেখাবেন মুকুল রায়। তাঁর কাঁধেই ভোটবৈতরণী পার হাওয়ার দায়িত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তালমিল রেখে ভোটের রণনীতি সাজাবেন মুকুল।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘনিয়ে আসছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। গত সপ্তাহেই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসানো হয় মুকুল রায়কে। তখনই ইঙ্গিত মিলছিল, মুকুলকে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সামনে উৎসবের মরসুম। তারপর বিহারে ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বাংলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। ওই বৈঠকেই বিধানসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে,পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক করা হচ্ছে মুকুল রায়কে। তাঁর কাধেই নির্বাচনের যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।


এর আগে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে বিজেপির আহ্বায়ক ছিলেন মুকুলবাবু। লোকসভায় রাজ্যে প্রথমবার ১৮টি আসন পেয়েছে পদ্মশিবির। তার কৃতিত্বের  অনেকাংশই মুকুলবাবুর। ভোটের ঠিক আগে নিশীথ প্রামাণিক, সৌমিত্র খাঁ, খগেন মূর্মূ, অর্জুন সিং ও অনুপম হাজরাকে ভাঙিয়ে আনেন। অনুপম ছাড়া সকলেই লোকসভা ভোটে জিতেছেন। তবে ভোটের পর বিজেপির অন্দরে জমে উঠেছিল দিলীপ বনাম মুকুল দ্বন্দ্ব। তা দিল্লির পর্যন্ত পৌঁছয়। মাঝে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মুকুলবাবুর। তাঁর বিজেপিতে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তবে মুকুল রায়কে ধরে রাখতে আগ্রহী বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তা স্পষ্ট হয়েছে, তাঁকে সর্বভারতীয় সভাপতির পদে বসানোর মধ্যে দিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় বরাবরই ভোট হল কৌশলের খেলা। এখানে ভোট হয় না, করাতে লাগে। সেই অঙ্ক ভালোমতোই বোঝেন অভিজ্ঞ রাজনীতিক মুকুল রায়। সে কারণেই তাঁকেই দেওয়া হচ্ছে বাংলা জয়ের দায়িত্ব। 


আরও পড়ুুন- বাদ পড়ে নব্য-আদির বিবাদ ডেকে দলকে অস্থির করলেন রাহুল সিনহা?