ওয়েব ডেস্ক: জোড়াসাঁকোয় এক কাঠ ব্যবসায়ী খুন। তদন্তকারীদের ধারণা, খুব পরিচিত লোকই খুন করেছে বৃদ্ধ ওই কাঠ ব্যবসায়ীকে। পরিবারের আশঙ্কা, খুনের পিছনে থাকতে পারে সম্পত্তি বিবাদ। তদন্ত শুরু করে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদিবাড়ি বিহারের দ্বারভাঙায়। দীর্ঘদিন খুরশিদ আলমের পরিবার জোড়াসাঁকোর বলাই দত্ত স্ট্রিটে পারিবারিক ব্যবসা সামলাচ্ছে। বৃদ্ধের তিন ছেলে অন্যত্র থাকেন। ছোট ছেলে থাকতেন বৃদ্ধের সঙ্গে। তবে পরিবার নিয়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছেন আজমেঢ় শরিফে।


অন্য দিনের মত রবিবার সকালেও আসেন বৃদ্ধের কর্মীরা। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে তাঁরা সোজা চলে যান দোতলায় বৃদ্ধের ঘরে। ঠেলতেই দরজা খুলে যায়। দেখা যায় খাটের ওপর বৃদ্ধ উপুর হয়ে পড়ে রয়েছেন। বৃদ্ধের গলায় গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন তাঁরা। আসেন কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। নিয়ে আসা হয় পুলিস কুকুরও। বৃদ্ধের দোকানের কর্মীরা পুলিসকে জানান, শনিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত দোতলার জানালায় বসে ব্যবসার কাজ সামলেছেন বৃদ্ধ।


কে খুন করল বৃদ্ধকে? তদন্ত শুরু করে বেশ কিছু সূত্র হাতে এসেছে পুলিসের। ঘরে কোনও লুঠপাটের চিহ্ন নেই। অর্থাত্‍ ডাকাতির জন্য নয়, খুনের উদ্দেশ্যেই বৃদ্ধের ঘরে হাজির হয় এক বা একাধিক দুষ্কৃতী। খুনের পিছনে খুব পরিচিত কেউ। যাঁকে বা যাঁদের চিনতে পেরে দরজা খুলে দেন বৃদ্ধ। যিনি বা যাঁরা জানতেন, রাত দেড়টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন বৃদ্ধ এবং তাঁর বাড়িতে কেউ নেই।


আততায়ী রক্তমাথা ছুরি এবং হাত বৃদ্ধের বালিশে মুছে যায়। সেই গন্ধ শুঁকে প্রায় পোদ্দার কোর্ট পর্যন্ত যায় কুকুর। গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই পথেই পালিয়ে যায় এক বা একাধিক দুষ্কৃতী। বৃদ্ধের গলায় গভীর ক্ষতই মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিক ধারণা গোয়েন্দাদের। ভোর রাতে বৃদ্ধকে খুন করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।


দ্বারভাঙা এবং এখানকার সম্পত্তি নিয়ে সত্‌ ভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল খুরশিদ আলমের। সেই গণ্ডগোল থানা পুলিস পর্যন্ত গড়ায়। পরিবারের মতে, খুনের পিছনে থাকতে পারে সম্পত্তি জনিত বিবাদ।