Humayun Kabir: পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হুমায়ুন; মমতাকে অভিযোগ, ব্যবস্থা নিতে বেঁধে দিলেন ডেডলাইন
হুমায়ুনের অভিযোগ বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের বিডিও, ভরতপুরের বিডিও, ভরতপুরের ওসি ও মুর্শিদাবাদের এসপির বিরুদ্ধে। এরা দুর্নীতি করছেন, এদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজস রয়েছে
প্রবীর চক্রবর্তী: দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। নিশানায় বিডিও, ওসি, এসপি। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে প্রকাশ্যে মুখ খোলার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি যখন ময়দানে নেমেছি তখন এদের সোজা করেই ছাড়ব। এটাই আমার কথা। আমার মূল যে অভিযোগ তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। আশাকরি সঠিক তদন্ত করে তিনি আমার অভিযোগের বিষয়টি দেখবেন। সাত দিনের মধ্যে যদি এর সুরাহা না হয় তাহলে কী করব তা ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে জানাব। দেখিয়ে দেব কী করে এদের সোজা করতে হয়। এরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, আবার তৃণমূলের একাংশের সঙ্গেও যুক্ত। তৃণমূলের জেলা নেতাদের মদত রয়েছে। তা না হলে একজন এসপি এতবড় হিম্মত দেখাতে পারে না।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে বিধায়ক VS বিধায়ক! Humayun Kabir-কে শোকজ তৃণমূলের
কেন পুলিসের বিরুদ্ধে এতটাই খেপে গেলেন হুমায়ুন? কেনই বা তার এই ডেডলাইন দেওয়া? হুমায়ুনের অভিযোগ বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের বিডিও, ভরতপুরের বিডিও, ভরতপুরের ওসি ও মুর্শিদাবাদের এসপির বিরুদ্ধে। এরা দুর্নীতি করছেন, এদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়কের। পাশাপাশি এদের তৃণমূলের একাংশ মদত দিচ্ছে। এসপির জন্য জেলায় বিজপি ২ আসন পেয়েছে। এদের যোগসাজসেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। ওইসব অভিযোগ তুলে ধরে তিনি ৪টি চিঠি লিখে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন বলে। শুধু তাই নয়, বিধানসভায় ঢোকার মুখে তিনি সাফ জানান, সাত দিনের মধ্যে প্রশাসনের ওইসব লোকজনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তিনি নিজে ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, দলের একজন বিধায়ক দলের বিধায়ক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ আনায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে হুমায়ুনকে নিয়ে দলের অস্বস্তি এই প্রথম নয়। গতবছর জুলাই মাসে তিনি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন রেজিনগরের বিধায়কের সঙ্গে। ওইসময় শক্তিনগরের এক জনসভায় হুমায়ুন কবীরকে রেজিনগরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য বলতে শোনা যায়, 'খুব সাবধান রবিউল চৌধুরি। আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে এলে হাড়গোড় এক করে দেব'। সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেন রবিউল। হুমায়ুনের শাস্তির দাবিও জানান।
ওই ঘটনার পর তৃণমূলের তত্কালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, 'মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের আমাদের এমএলএ হুমায়ুন কবীর শক্তিনগরের জনসভায় যেভাবে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন, যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, দল তদন্তসাপেক্ষে তা অনুমোদন করে না। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে, তৃণমূলের মহাসচিব হিসেবে ওঁকে ফোন ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধরা যায়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের তরফে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। তিনি যে আচরণ ও ভাষা প্রয়োগ করেছে দলের অপর বিধায়ক সম্পর্কে, তা সমর্থনযোগ্য নয়'।