নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে  গল্ফগ্রিনে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ গল্ফগ্রিনের বাড়িতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিষক্রিয়ায় ওই যুবকের মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহ। সেখানে তাঁর পাকস্থলীতে মিলেছে প্রচুর অ্যালকোহল। 


১৯ বছরের যুবক রিক্তেশ। সোনারপুরের বাসিন্দা। ১৫ তারিখ তাঁর জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে বন্ধুকে ফোন করেন। বন্ধু কৌশিক বাঘাযতীনের বাসিন্দা। কৌশিকের বাড়িতে যান রিক্তেশ। এরপর তাঁরা মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রিক্তেশের পরিবারের তরফ থেকে পরের দিন অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কৌশিক মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে অনিশ্চাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 


ওই যুবকের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে বলে পুলিস সুত্রে খবর। প্রথমত, যেখানে পার্টির কথা বলা হয়েছিল, সেখানে পার্টি হয়নি। আটক করার পর কৌশিক মণ্ডল পুলিসের কাছে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনওরকম মদ্যপান করেননি। অন্যদিকে, যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল তখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে রিক্তেশের বাড়ির লোকের অভিযোগ। 


কৌশিকের স্ত্রী জানান, 'রিক্তেশ সন্ধে সাড়ে ৭ টা থেকে ৮ টা নাগাদ আসেন। এর আগে কী খেয়েছে কী খায়নি আমরা জানি না। এখানে কেউ মদ খায়নি। আমাদের পরিবারে কেউ মদ খায় না,  আমরা অনুমতি দিই না'।


কৌশিক মণ্ডলের মা জানিয়েছেন, 'গল্প করে শুতে রাত হয়। সকালে উঠে দেখি ওর মুখে থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছে। করোনার সময় রাতেরবেলা কোথায় নিয়ে যাব? পরিবার নেই কাছে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারকে ফোন করেছি। কিন্তু তাঁরা আসতে দেরি করেন। অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যখনই ওর শরীর খারাপ হয়, বারবার ফোন করে গেছি ওঁর মাকে। কেউ ফোন ধরেননি।'