নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমি চলে যাওয়ার পর দরকার পড়বে'! মৃত্যুর আগে নিজের মোবাইল ও ল্যাপটপের পাঠিয়েছিলেন ভাইকে। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই বিস্ফোরক দাবি বাবা-মায়ের। তাঁদের প্রশ্ন, 'সেই মোবাইল ও ল্যাপটপ কোথায় গেল'?  শহরের ধনী শিল্পপতির মেয়ে রসিকা জৈনের মৃত্যুতে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে ক্রমশই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহরের অভিজাত পাড়ায় রহস্যমৃত্যু। খুন নাকি আত্মহত্যা? দুর্ঘটনাও তো হতে পারে? রসিকা আগরওয়াল জৈনের মৃত্যুতে প্রশ্ন অনেক। ২০১৯ সালে বেশ ঘটা করেই কুশল আগরওয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় রসিকার। ২০২০ সালে এক বছরে বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও জাঁকজমক ছিল যথেষ্টই। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির টেরেসের নীচে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। রসিকা কি নিজেই অসাবধানতায় পড়ে গিয়েছিলেন? সজ্ঞানে পড়েছেন, আত্মহত্যামানসে? নাকি, কেউ তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে? উত্তর খুঁজছে পুলিস।


আরও পড়ুন: নিমতায় BJP কর্মীর বৃদ্ধা মাকে মারধরের ঘটনায় চার্জশিট পেশ পুলিসের


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রসিকার বাবা বলেন, 'কুশল সবসময় মাদকাক্ত থাকত, মেয়েকে মারধর করত। মৃত্যুর ২ দিন আগে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়'। তাঁর দাবি, 'জানুয়ারিতে শ্বশুরবাড়িতে ছেড়ে আসেন রসিকা। শ্বশুর এসে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তারপরেও রসিকাকে মারধর করত কুশল'। এমনকী মেয়ে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন রসিকার মা।


আরও পড়ুন: খুদেকণ্ঠে জীবন-মাঠ বড় করার মিষ্টি ডাকে মুগ্ধ সোশ্যাল মিডিয়া


প্রসঙ্গত,  ১৬ ফ্রেরুয়ারি শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা যান রসিকা। অথচ তাঁর বাড়ির লোকের ঘটনার কথা জানতে পারেন পরের দিন! আর তাতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মৃতের হোয়াটস অ্য়াপ চ্যাট ও ঘটনার দিনের সিসিটিভ ফুটেজ পুলিসের হাতে এসেছেন বলে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে উপর থেকে রসিকাকে পড়তে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিস। সেক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিল কে? খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।