নিজস্ব প্রতিবেদন: আশা আশাই থেকে গেল। ষষ্ঠ বেতন কমিশন সুপারিশ লাগু হচ্ছে রাজ্যে। তবে বকেয়া বেতন পাবেন না সরকারি কর্মীরা। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীমহলে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দলের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সভায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্ধিত বেতনের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুপারিশ লাগু করতে গিয়ে মাঝে বেশ কয়েকটা বছর পার হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ৪ বছরের বকেয়া পাওয়ার আশা করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু সেই আশা বিশ বাঁও জলে। শুক্রবার সন্ধেয় নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে রোপা রুল ২০১৯ (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) জারি করল নবান্ন। তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মচারীরা কোনও এরিয়ার বা বকেয়া টাকা পাবেন না।



ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ সোমবার অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে কর্মচারীদের বকেয়া বেতনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। সে দিন জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। হেসে বলেছিলেন, “আপনারা কি পে কমিশনের সুপারিশ মুখস্থ করে রেখেছেন? কোথায় পেলেন এটা? আমি তো বলছি কমিশন যা সুপারিশ করেছে তা সবই কমবেশি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না। পে কমিশনের সুপারিশও আপনাদের দেখাতে পারব না”।


সরকারের মনোভাব সে দিনই টের পাওয়া গিয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর ছিল, বকেয়া টাকা অধরাই থেকে যেতে পারে। শেষমেশ হলও তাই। শুক্রবার প্রকাশিত রোপা রুল ২০১৯-এ পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, নতুন বেতন কাঠামো ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে লাগু হবে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ধিত বেতন কাঠামোর ব্যাপারে নিয়মকানুন ঘোষণা করে দেওয়া হবে। সেই মতোই আজ শুক্রবার, মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যাতেই রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস ২০১৯ (রোপা রুল) জারি করল নবান্ন। নতুন বেতন কাঠামো ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।


 ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন রোপাতে বেতন কাঠামো কেমন হবে তার একটা আন্দাজ গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে মূল বেতন তথা গ্রেড পে ও ব্যান্ড পে যদি কারও ১০০ টাকা হয়। তা হলে মহার্ঘ ভাতা-সহ তিনি ২২৫ টাকা পান। নতুন বেতন কাঠামোয় ওই ২২৫ টাকার উপর ১৪.২ শতাংশ বেতন বাড়বে। তা ছাড়া ২০১৬ সাল থেকে ৩ শতাংশ করে আরও ৯ শতাংশ (নোশনাল ইনক্রিমেন্ট) বেতন বাড়ানো হবে। অর্থাৎ যিনি মহার্ঘ ভাতা-সহ ২২৫ টাকা পেতেন এখন পাবেন ২৮০ টাকা ৯০ পয়সা।


এছাড়া বাড়িভাড়া ভাতার ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, গ্র্যাচুইটি বাবদ কর্মচারীদের প্রাপ্য উর্ধ্বসীমা ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- পুজোয় বাংলার সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর, আর ঝঞ্ঝাট পোয়াতে আর হবে না