নিজস্ব প্রতিবেদন: দিলীপ ঘোষ-আরএসএসের সরাসরি যোগের প্রমাণ পেয়েছি। ব্যাগে বোমা রেখে চলে গিয়েছিল, পুলিস কীভাবে বুঝবে। নাগেরবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে এভাবেই সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলকে নিশানা করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন,''সিপিএমের আর ক্ষমতা নেই। আরএসএস-বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা পাকা হাতের কাজ''।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ''হিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। পাচু রায় জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। ওঁকে টার্গেট করেছিল। খুনের ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি''। আঘাত করলে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। 


তবে শাসক দলের এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে আরএসএস-বিজেপি।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপিকে নিশানা করছে শাসক দল। আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু বলেন,  ''রাজ্যের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কাছে এই ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক। আরএসএস হিংসাত্মক কাজে জড়িত থাকে না। আমরা এনআইএ তদন্ত চাইছ। রাজ্যটা একেবারে জতুগৃহ হয়ে গিয়েছে''। 


মঙ্গলবার সকালে দমদম নাগেরবাজার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের দফতরের সামনে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আহত হন ১২ জন। পরে এসএসকেএম-এ আহতদের মধ্যে মৃত্যু হয় বিভাস ঘোষ নামে ৮ বছরের এক বালকের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় দাবি করেন, তাঁকে খুনের উদ্দেশেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ব্যাগে করে আনা হয়েছিল বোমা। 


তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও বিস্ফোরকের প্রকৃতি নিয়ে প্রথমে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস কমিশনার জানান, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে নাগেরবাজারে। কিন্তু, তাতেও প্রশ্ন উঠছে, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণে এতখানি তীব্রতা থাকা কি সম্ভব?


বিস্ফোরণের অভিঘাতে নাগেরবাজারে ওই বহুতলের বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিন তলার জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। খাট থেকে পড়ে যান বহুতলের এক বাসিন্দা। পুলিসের দাবি মোতাবেক সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশই।


আরও পড়ুন- সোশ্যাল সেনসেশন পুচকির হট ছবি দেখছেন