kashi Bose Lane Death Case: জানা গেল কাশীবোস লেন-কাণ্ডে মৃতার নাম-পরিচয়! কী ভাবে মৃত্যু?
kashi Bose Lane Death Case: জানা গেল কাশীবোস লেন কাণ্ডে মৃতার নাম। রাস্তার পাশের মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গের মতো `স্পেস` তৈরি করা হয়েছিল রাস্তার নীচে পর্যন্ত। সেখানে ঢুকে মহিলার পায়ে দড়ি বাঁধেন এক ব্যক্তি। তারপর টেনে বার করা হয় দেহ।
রণয় তিওয়ারী: উত্তর কলকাতার হাড়হিম করা কাশীবোস লেনের ঘটনায় রাস্তার গর্ত থেকে উদ্ধার মহিলার পরিচয় জানা গেল! জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সুপর্ণা শীল (৪৫)। তিনি শ্যামপুকুরের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ির ঠিকানা-- ৬/২ রাজা কালীকৃষ্ণ সেকেন্ড লেন। আরও জানা গিয়েছে, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন! গত তিনদিন আগে, বৃহস্পতিবারেও ভারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, গর্তে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
শনিবার এই ঘটনায় চকিত হয়ে উঠেছিল গোটা শহর। রাস্তার নীচের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছিল ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ। সেই দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনিয়েছিল তীব্র রহস্য। এ খুন করে লাশ গুম, নাকি দুর্ঘটনা? উঠে আসছে বহু প্রশ্ন। খোদ মহানগরের বুকে ঘটা এমন রোমহর্ষক কাণ্ডের নজির হাতড়াচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারা।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে, ওই মহিলার শরীরের উপরের অংশে শুধু টি-শার্ট থাকা এবং নীচে কোনও পোশাক না থাকার বিষয়টি। বলা হয়েছে, তাঁর বয়স চল্লিশ থকে পঁয়তাল্লিশের মধ্যে। খাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার নীচ থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারে হতবাক ও আতঙ্কিত এলাকাবাসীও। কোনও গলি-ঘুঁজি নয়। বিশাল চওড়া বড় রাস্তা। সেই বড় রাস্তার নীচে দেহ! মুহুর্মুহু সেখানে চলছে বাস, ট্যাক্সি, গাড়ি। চলছে ট্রামও।
প্রথমে রাস্তায় দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আসে পুলিস। রাস্তার পাশের মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গের মতো তৈরি করা হয় রাস্তার নীচে পর্যন্ত। সেখানে ঢুকে মহিলার পায়ে দড়ি বাঁধেন এক ব্যক্তি। টেনে বার করা হয় দেহ। কালই যে প্রশ্নগুলি ঘোরাফেরা করছিল সেগুলি হল-- মৃত মহিলার পরিচয় কী? ঠিকানা কী? এলাকায় কেউ নিখোঁজ আছেন? নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে? এ কি খুন করে লাশ গুম করার চেষ্টা, নাকি নিছক দুর্ঘটনাই, পড়ে গিয়ে মৃত্যু? দুর্ঘটনা ঘটলে এত ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় কারও নজরে পড়ল না তা? পড়ে গিয়ে কি রাস্তার এত নীচে চলে যেতে পারে দেহ? মৃতদেহ শোয়ানো অবস্থায় ছিল, দুর্ঘটনা হলে সেটা কি সম্ভব? মহিলার শরীরের নীচের অংশে পোশাক নেই কেন? নীচের অংশের পোশাক উদ্ধার হয়নি! কোথায় সেই পোশাক? লাশ গুম করার চেষ্টা হলে এমন ব্যস্ত এলাকায় কেন? রাস্তা খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হলে কারও চোখে পড়ল না?
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে এলাকায়। ৪ দিন আগে সেই গর্তও বুজিয়ে দিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। তবে মাটি চাপা দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি বুজিয়ে দিলেও বৃষ্টিতে ধস নেমে মাটি আলগা হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এলাকাবাসী। মহিলার দেহ পচে গলে যায়নি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দু-থেকে তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। দেহ দেখে অটোপসি বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। কী কারণে মৃত্যু, জানতে আপাতত ময়নাতদন্তের অপেক্ষা।