ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রামকাণ্ডের চার্জশিটে নাম থাকা পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য? জানত চেয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল সিবিআই। নন্দীগ্রামের ঘটনায় রাজ্যের কয়েকজন পুলিসকর্তার ভুমিকা নিয়ে সিবিআই প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়। তবে বার বার চিঠি দেওয়া সত্বেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু।


উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে।


চার্জশিটে রাজ্যের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পুলিস আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিবিআই। ওই পুলিস অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  ঠিক যেমনটা হয়েছিল রিজওয়ানুর  মামলার ক্ষেত্রেও।


নন্দীগ্রাম কাণ্ডে যে ছজন পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে সিবিআই ব্যবস্থা নিতে বলেছে তাঁরা হলেন-


সেই সময়ের আইজি পশ্চিমাঞ্চল অরুণ গুপ্তা, মেদিনীপুরের ডিআইজি এনআর বাবু, দুই অতিরিক্ত পুলিস সুপার সত্যজিত্‍ ব্যানার্জি এবং দেবাশিস বড়াল,  ডিএসপি তন্ময় রায়চৌধুরী এবং ওসি নন্দীগ্রাম শেখর রায়।


পরিবর্তনের আগেই হোক বা পরে বরাবরই রাজ্য সরকারের কাছে  ছাড় পেয়ে এসেছেন এই পুলিস আধিকারিকেরা। ব্যবস্থা দূর অস্ত, উল্টে এদের বেশিরভাগেরই পদোন্নতি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠনের  ক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ফলে তাঁর আমলে নন্দীগ্রাম কাণ্ডে নাম থাকা অফিসারদের পদোন্নতি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে শাসকদল বরাবরই দাবি করেছে ওই পুলিস আধিকারিকরা নন, নন্দীগ্রামকাণ্ডে  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যই দায়ী।


ফলে নন্দীগ্রাম কাণ্ডের চার্জশিটে নাম থাকা হাফডজন পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে আজও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থার জন্য এর আগে দু-দুবার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এবারে তাই ফের  আরও একবার রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।