নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ফিরহাদদের গ্রেফতারের পেছনে রয়েছে রাজ্যপালের কারসাজি। এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি শালীনতার গন্ডি ছাড়িয়ে রাজ্যপালকে কুকুরের সঙ্গেও তুলনা করলেন কল্যাণ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee) বলেন, আমরা এনিয়ে আদালতে যাব। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে কোভিড পরিস্থিতিতে কাউকে একরকম অপ্রয়োজনীয় ভাবে গ্রেফতার করতে পারে না সিবিআই। তার পরেও তা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-'Suvendu-কে গ্রেফতার করা হল না কেন'?, প্রশ্ন  Mathew Samuel-র  


তৃণমূল সাংসদ বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপাল ওই চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার সম্মতি দিয়েছেন। উনি যা করেছেন তা প্রতিহিংসা মূলক। মিনিস্ট্রি অব কাউন্সিলের সুপারিশ ছাড়া এজিনিস রাজ্যপাল করতে পারেন না। 


২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। রাজ্যপাল তা আটকে রাখেন এই সময়টার জন্য। এমনই অভিযোগ কল্যাণের। তিনি বলেন, রাজ্যপাল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েই এই কাজ করছেন। রাজ্যপাল এখন চারদিকে বিজেপির পতাকা নিয়ে বের হচ্ছেন। কেন মুকুল রায় গ্রেফতর হল না। শুভেন্দুকে(Suvendu Adhikari) কেন গ্রেফতার করা হল না। বিজেপির লোকদের কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? মানুষকে কীভাবে জেলে ঢোকাতে হয় তার জন্য ব্য়স্ত হয়ে পড়েছেন উনি। এখন চেষ্টা করছেন যাতে ২০২৪ সালে রাজস্থান থেকে লোকসভায় টিকিট পাওয়া যায়।


আরও পড়ুনগেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা; পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি TMC সমর্থকদের, রণক্ষেত্র CBI দফতর  


রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের কথা টেনে কল্যাণ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মানুষ যে জনাদেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন তা সহ্য করতে পারছেন না রাজ্যপাল। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীকে উনি কথা দিয়েছিলেন, বিজেপি যেকোনও ভাবে এরাজ্য ক্ষমতায় আনবেন । এখন সেই কাজেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যপাল বেআইনি ভাবে এসব কাজ করছেন। সুব্রত, ফিরহাদ, মদন সবাই কোভিড থেকে উঠেছেন। ২০১৬ সালের কেস, এখন কেন উঠে আসছে।  এসব কথা আদালতে আদালতে তুলব। এই রাজ্যপাল ছিটগ্রস্থ, রক্তচোষা, পাগল কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এক মিনিট রাজ্যপলের পদে থাকা উচিত নয় ওঁর।