ওয়েব ডেস্ক: নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি নিশীথা মাত্রে, রাজ্যসরকার এবং পুলিসের গড়িমসি মনোভাবকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন এবং নারদকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারদকাণ্ডের সব নথি, ভিডিও ফুটেজ, ডিভাইস সিবিআইয়ের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তার পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু করতে হবে নারদকাণ্ডের তদন্ত। নারদকাণ্ডে জড়িত আইপিএস অফিসার মির্জাকে সাসপেন্ড করারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য-রাজনীতি। নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে। গোটা রাজ্য, সারা দেশ সেই ভিডিও ফুটেজ দেখেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবারই ভিডিও 'ডক্টরড' (বিকৃত) বলে দাবি করা হয়েছে। নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধেও মামলা করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজকের রায়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে নারদকাণ্ডের ভিডিও বিকৃত নয়। চণ্ডীগড় ডিভাইস ল্যাব থেকে পরীক্ষার পরই জানা গিয়েছে এই ভিডিও ফুটেজ বিকৃত নয়, আর সেই নথি হাতে রেখেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।    


নারদকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলার রায়ের পর মামলাকারী আইনজীবী জানান, "এই রায়ে মানুষের জয় হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা যে কতটা শক্ত এবং দৃঢ়, তা আবারও প্রমাণিত হল। সিবিআই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দেবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই ঠিক হবে সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে কিনা।"  


আদালতের রায়ে খুশি মামলাকারী অমিতাভ চক্রবর্তী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, "যেভাবে টেলিভিশনে বাংলার নেতাদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে তা লজ্জার। সারা ভারতে এমন ঘটনার অনেক নজির থাকলেও বাংলায় এটা প্রথম। নারদ স্টিং কী আদৌ সত্য? তদন্ত হোক, সেটাই চেয়েছিলাম। রাজ্যসরকার কখনই নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না বলেই মনে হয়েছে। সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এতে আমি খুশি। ভিডিও বিকৃত হলে, যিনি বিকৃতি ঘটিয়েছেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হোক। আর এই রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমস্ত অভিযুক্ত সাংসদ, নেতা, এবং মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা"।