নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটেরের দফতরে হাজিরা দিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। ৪ বার ইডি সমন এড়িয়ে অবশেষে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৯.৩০ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন রত্নাদেবী। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরার পর রত্না জানান, "আমার উত্তরে যদি তাঁরা (তদন্তকারী অফিসাররা) অসন্তুষ্ট হন, তাহলে আমি আবার আসব।" নারদ ভিডিও ফুটেজে কোথাও দেখা না গেলেও কেন তাঁকে তলব করল ইডি? ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে মেয়রের স্ত্রী বলেন, 'সেটা আমি জানি না'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'অভিযোগ প্রমাণ করুন, নাহলে বাংলা ছাড়ুন', মুকুলকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের


উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পরই উঠে আসে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম। শোভনের ব্যাঙ্ক লেনদেনের খতিয়ানে দেখা যায় প্রচুর টাকা পাঠানো হয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে। এরপরই মেয়রের স্ত্রীকে সমন পাঠান তদন্তকারীরা। কখনো বিদেশে আছেন, কখনো অসুস্থতার কারণে চার বার ইডির সমন এড়িয়েছেন রত্না। পঞ্চমবার ইডি দফতরে নিজেই এসে হাজির হলেন তিনি। 


আরও পড়ুন- ''গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে পদ্মাবতী নিয়ে মন্তব্য করবেন না,'' কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের


গতকালই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে পাকাপাকি বিচ্ছেদ চেয়ে নিন্ম আদালতে আবেদন করেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী মারফৎ বিচারককে মেয়র জানিয়েছেন, স্ত্রীর ব্যয়বহুল জীবনের খরচ টানতে পারছেন না তিনি। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইডি দফতরে প্রথমবার হাজিরা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। নারদকাণ্ড এবং মেয়র সংক্রান্ত কী তথ্য তদন্তকারীদের কাছে তুলে দিয়েছেন রত্না? আপাতত মুখে কুলুপ মেয়রের স্ত্রীর।