অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা-দুটো নয়, রথযাত্রার মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে চারটি সভা করাতে চায় বঙ্গ বিজেপি। রথযাত্রার নিয়ে প্রচারের হাওয়া তুঙ্গে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর মুখই দিলীপ ঘোষদের তুরুপের তাস। আর সেই তাসই ব্যবহার করতে চাইছে তারা।  


প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ব্রিগেডের আগে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আরও চারটি সভার পরিকল্পনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে''। তবে চারটি সভার নির্ঘণ্ট এখনও ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে সবুজ সংকেত আসার পর দিনক্ষণ জানানো হবে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, রথযাত্রা চলাকালীন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর বা আসানসোল, মালদহ এবং কৃষ্ণনগরে মোট চারটি সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।



৭ ডিসেম্বর কোচবিহারে গড়াবে বিজেপির রথের চাকা। রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রথযাত্রার মাঝে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত মোদীর সভা হবে বলে সূত্রের খবর। বলে রাখি, তারাপীঠ, কোচবিহার ও গঙ্গাসাগর থেকে বেরোবে ৩টি রথ। বিজেপির পরিকল্পনা অনুসারে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই পৌঁছবে বিজেপির কোনও না কোনও রথ। সেখানে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন গেরুয়া ব্রিগেডের নেতারা। 


লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ২২টি আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। গত ২৩ নভেম্বর জি নিউজের এডিটর-ইন-চিফ সুধীর চৌধুরীকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ দাবি করেন, ''সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া কথা ভাবনাতেই আনছি না। পশ্চিমবঙ্গেই ২৩টির বেশি আসন জিতব''। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাজোটের তদ্বির নিয়ে অমিত খোঁচা দেন,''ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা নন, সাধারণ মানুষই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন''। ওই সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ এও স্পষ্ট করেন, নরেন্দ্র মোদী জনপ্রিয় নেতা। বিজেপির মুখও তিনিই। লোকসভা ভোটের আগে মোদীর সেই জনপ্রিয়তার ভরসাতেই রথযাত্রা সফল করার প্রয়াস করছে রাজ্য বিজেপি। সাম্প্রতিককালে শাসক দলের বিরুদ্ধে ইস্যু পেলেও তার ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিজেপির পালে হাওয়া দিতে চাইছেন রাজ্য নেতৃত্ব।