নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও সল্টলেক, কখনও নেতাজিনগর, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া ঘুরে ফিরে সামনে এসেছে একাধিকবার। এবার ঘটনাস্থল নরেন্দ্রপুর। নেতাজিনগরের এক বহুতলে দাদার দেহ আগলে পড়েছিলেন বোন। মঙ্গলবার দরজা ভেঙে অঞ্জন কুমার দে (৭০) নামে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রে খবর, কারও সঙ্গেই মিশতেন না অঞ্জন দে এবং মিনতি দে। এমনকি আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের টাকাও দিতেন না ভাই-বোন। আবাসনের কারও সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। কাজেই মৃত্যুর ঘটনাও টের পাননি আবাসিকরা। 



মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে আবাসনের সর্বত্র। বাধ্য হয়ে পুলিসে খবর দেন আবাসনের বাসিন্দারা। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ পুলিস পৌঁছয় ওই ফ্ল্যাটে। দরজা ধাক্কা দেওয়ায় তা খুলে দেন বোন মিনতি দে নিজেই। এরপর বছর ৭০-এর ওই বৃদ্ধর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে, সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে বচসা, কানের পাশে কাটারি রেখে তরুণীকে খুনের হমকি নামী টলিউড প্রযোজকের


অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মিনতি দেবীকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন মিনতি দেবীর। যার জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। 


কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, সম্ভবত দুদিন আগেই মারা গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তবে মৃতদেহে কোনও ক্ষতর চিহ্ন মেলেনি। আগামিকাল মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট মিললেই জানা যাবে মৃত্যুই আসল কারণ।