ওয়েব ডেস্ক: নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের এ বার এক এক করে ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এ সপ্তাহের শেষে না হলে আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এফআইআরে নাম থাকা ১৩ জনকে দিয়েই জেরা শুরু করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর নারদ মামলায় এই ১৩ জন ছাড়া আরও ১৭ জন তাদের স্ক্যানারে রয়েছেন। পরের ধাপে এই ১৭ জনকেও তলবের পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআই-এর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


স্টিং অপারেশনের ফুটেজ বিকৃত নয় বলেই হাইকোর্টে রিপোর্ট দেয় চণ্ডীগড়ের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি। এডিটেড ফুটেজে দেখা গেছে এমন ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এ বার এঁদের তলব করতে চলেছেন গোয়েন্দারা। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই এফআইআরে নাম থাকা ১৩ জনকে এক এক করে জেরার নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।


ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে কেন তাঁরা টাকা নেন, জানতে চাইবে সিবিআই, রেকর্ড করা হবে অভিযুক্তদের বয়ান। বয়ান রেকর্ডের পর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।


নারদ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছেন আরও ১৭ জন। সিবিআই সূত্রে দাবি, স্টিং অপারেশনের আন-এডিটেড ফুটেজ এবং নানা কথোপকথনের অডিও ক্লিপ থেকে ১৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৩ জনের সঙ্গে এই ১৭ জনও জড়িত বলে মনে করছে সিবিআই।
ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, আর্থিক সুবিধা নেওয়া, টাকা হাতবদলের মতো নানা বিষয়ে এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।



এই ১৭ জনের মধ্যে অধিকাংশই এ রাজ্য ও ভিন রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তি।


এফআইআরে নাম থাকা ১৩ জনের জেরা সেরে নিয়ে পরের ধাপে এই ১৭ জনকে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআই-এর। নারদ-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা, সায়ান্টিফিক উইং এবং দিল্লির সেন্ট্রাল ইউনিটের অফিসারদের রাখা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রঞ্জিত কুমার তদন্তে নেতৃত্ব দেবেন। তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে কিনা তা দেখবেন সিবিআই-এর এসপি পদমর্যাদার দুই অফিসার। এঁদের মধ্যে একজন দিল্লির আধিকারিক। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরার জন্য অভিযুক্তদের দিল্লি-কলকাতা দু-জায়গাতেই তলব করা হতে পারে। (আরও পড়ুন- বিজেপিকে ঠেকাতে দলের নেতা-কর্মীদের সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ মানস ভুঁইঞার)