নিজস্ব প্রতিবেদন: জরুরি বিভাগের সামনের মূল ফটক বন্ধ, সামনেই বসে নিরাপত্তারক্ষী। মর্জি মতো রোগীদের ঢোকাচ্ছেন তিনি। ইচ্ছে হলে আবার ফিরিয়েও দিচ্ছেন। এদিকে গেটের মুখে ওষুধ হাতে ঠায় দাঁড়িয়ে রোগীদের পরিবার। কেউ আবার কেঁদেও ফেলেছেন এই পরিস্থিতি দেখে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার অদ্ভূত এক দৃশ্য চোখে পড়ল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের মতো ব্যস্ত একটি জায়গায় কেন দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ফটক বন্ধ রাখায় গেট খোলার দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষজন। মঙ্গলবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনেই ভিড় করেন তাঁরা। অভিযোগ, এভাবে গেট বন্ধ রাখায় একাধিক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। সঠিক সময় ওষুধ নিয়ে পৌঁছনো যাচ্ছে না রোগীদের কাছে। দেরি হচ্ছে চিকিৎসাতে। তাই অবিলম্বে অবাধ প্রবেশের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: পাহাড়প্রমাণ জরিমানায় আপত্তি সরকারের, রাজ্যে এখনই লাগু নয় নয়া মোটর ভেহিক্যালস আইন


ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, "সাধারণ মানুষের স্বার্থে হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার গেট খুলে দেওয়া হোক।" এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, এভাবে গেট বন্ধ রাখা উচিৎ নয়। পুলিস বা হাসপাতাল প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছে না? প্রশ্ন তাঁর। অন্যদিকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেনের দাবি, গেট বন্ধ রাখায় হাসপাতাল চত্বরে অশান্তি কমেছে। বহিরাগতদের প্রবেশ আটকানো গিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হলে আলোচনা করে সেই সমস্যা মেটানো হবে।