শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি! ভাঙড়ের বিধায়কের চ্যালেঞ্জ, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো, তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত এমপি করে কালীঘাটে পাঠাব'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Ration Scam: 'আমি নির্দোষ, ইডি বুঝতে পেরেছে আমি মুক্ত', আদালতের পথে সওয়াল জ্যোতিপ্রিয়র


২০১৪-র পর ফের ২০১৯। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর দু'বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিষেককেই এবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, 'হারার ভয়ে পালিয়ে যাবেন কিনা, জানি না। ২০২৪-এ ডায়মন্ড হারবার থেকে যিনি লড়াই করবেন, আমার ইচ্ছা আছে, তাঁর বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত এমপি করে কালীঘাটে পাঠাব'। 


একুশের বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্টের সমর্থনে ভাঙড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন ISF প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু লোকসভা ভোটে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে শামিল সিপিএম, তখন খোদ অভিষেকে বিরুদ্ধে লড়তে চাইছেন তিনি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,  'বয়স কম। একটি পার্টি তৈরি করেছে। বিধায়ক বামফ্রন্টের সমর্থনে দাঁড়িয়েছে এবং জয়ী হয়েছে। ফলে এমএলএ ভোটে যে দাঁড়াতে পারি, এমপি ভোটেও সে দাঁড়াতে পারে। ওনার যদি ইচ্ছে হয় এবং মনোনিবেশ করেন,ইনি এমপি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেটা উনার মত'। 


সিপিএমের কী সমর্থন থাকবে? সুজনের জবাব, 'এখনও আলোচনা হয়নি। দল হিসেবে প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব মত থাকতে পারে। আবার বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে ঐক্যমতও হতে হবে'।


আর তৃণমূল? দলের রাজ্যসভায় সাংসদ শান্তনুর সেনের মতে, 'যেকোনও কেন্দ্র থেকে যেকেউ রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, এটাতে কোনও অন্যায় নেই। তিনি যে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেই দল বিজেপির অর্থে মদতপুষ্ট, সবাই জানে। পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র বিজেপি বিরোধী শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস, তাকে হারানোর জন্য বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে, সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা তৃণমূলের বিরোধিতা করে। এটা প্রমাণিত সত্য'।



আরও পড়ুন:  Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়! কে দেখবেন মন্ত্রীর দফতর?


শান্তনুর দাবি, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রায় ৭০-৮০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। পাঁচ বছর কাজ করার পর, ২০১৯ সালে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ওই একই আসনে মানুষের আর্শীবাদের ৭০-৮০ হাজারের মার্জিনটা সম্ভবত ৩ লাখ ৩০-৪০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লক্ষ ভোটে জিতবেন'। সঙ্গে কটাক্ষ, 'হাতি-ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল'!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)