অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইশরত জাহাঁর পর এবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন তাঁর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার মুরলীধর স্ট্রিটে ইশরতের আইনজীবী নাজিয়া ইলাহি খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


তিন তালাক মামলার ৫ আবেদনকারীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইশরত জাহাঁ। তিনি ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। ওই মামলাতেই ইশরতের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন নাজিয়া ইলাহি খান। মক্কেলের পথই ধরলেন তিনি।


আরও পড়ুন- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির ৪ মুখ


তবে নাজিয়ার অতীত ঘিরে বিজেপির অন্দরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর ফেসবুক পোস্টে দেখা যাচ্ছে, একটি বিক্ষোভে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়াচ্ছেন তিনি। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে জুতোর মালা পরানো। তবে জানাজানি হওয়ার পরই ছবিটি ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি। তাঁর ফেসবুকে জ্বলজ্বল করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে তাঁর ছবি। এহেন নাজিয়া ইলাহি খানকেই দলে নিল বিজেপি। 





আরও পড়ুন- উলুবেড়িয়া উপনির্বাচনে বিজেপির 'সম্ভাব্য প্রার্থী'কেই দলে টেনে মুকুলকে ধাক্কা দিল তৃণমূল


বিজেপি কর্মীদের প্রশ্ন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বিরোধী দল ভাঙিয়ে লোক আনতে বলেছেন। তাই বলে প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে যে জুতোর মালা পরিয়েছে তাকে দলে নেওয়া হল কী ভাবে? আর নাজিয়া এমন প্রভাবশালী নেত্রীও নন, যে আপোস করতে হবে। অনেকেরই মত, যোগদানের আগে ফেসবুক থেকে ছবি মুছেও দিতে পারতেন নাজিয়া, তবে তা করেননি তিনি। কোথাও কি পরিকল্পনার অভাব থেকে গেল? নাকি জেনেবুঝেই নাজিয়ার যোগদানে বিতর্ক উস্কে দেওয়া হল, উঠছে সেই প্রশ্ন।    


আরও পড়ুন- রাজনাথকে এড়িয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা


প্রসঙ্গত, বিজেপির মিডিয়া বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের সময় থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে অনুপস্থিত ছিলেন কৈলাস বা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি অন্দরেই প্রশ্ন, সব জেনেই কি ইচ্ছে করে এড়িয়ে গেলেন তাঁরা?  


 



আরও পড়ুন- 'মুকুল ভূত' দেখছেন না কি রাজ্য বিজেপি নেতারা?


বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে দেওবন্দের মতো মুসলিম সংখ্যাগুরু কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। বাংলাতেও একই ফর্মুলায় মুসলিম মহিলা ও শিক্ষিতদের ভোট পাওয়ার আশা করছে বিজেপি। নাজিয়া ইলাহি খান শুধু আইনজীবীই নন, বরং তিনি সমাজকর্মীও। নিয়মিত সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। মুসলিম মহল্লায় নাজিয়ার এই 'জনসংযোগ' কাজে লাগতে চাইছে তারা। 


আরও পড়ুন- চিন নয় উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনে মন মজেছে সিপিএমের