আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির ৪ মুখ

পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেছে রাজ্য বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বিজেপির মুখ ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। 

Updated By: Dec 5, 2017, 09:08 PM IST
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির ৪ মুখ

অঞ্জন রায়

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির 'প্রচারমুখ' কে? সেই জল্পনার অবসান হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারমুখ ঠিক করে ফেলল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর কোনও পদে না থেকেও সেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন সদ্য বিজেপিতে আসা মুকুল রায়। এ থেকেই স্পষ্ট, তাঁকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মুকুলের সঙ্গে তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহার। আশ্চর্যজনকভাবে এই তালিকায় ঠাঁই হল না বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও শমীক ভট্টাচার্যের মতো নেতানেত্রী। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহূর্তে নিঃশব্দেই ব্যাটন বদল হচ্ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।

যে কোনও নির্বাচনের আগেই প্রচার মুখের তালিকা তৈরি করে বিজেপি। সেই তালিকা থেকে নেতানেত্রীর গুরুত্ব ঠিক কতটা তার আঁচ পাওয়া যায়, যেমন- গুজরাটে প্রচার তালিকায় নাম নেই লালকৃষ্ণ আডবাণীর। অথচ তিনি ওই রাজ্যেরই সাংসদ। এ থেকেই স্পষ্ট, মোদী-শাহ জমানায় বাতিলের খাতায় আডবাণী। বাংলাতেও সেই নীতিরই আভাস মিলেছে বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ভাল ফল করলে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট ও ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটেও একই মুখ থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন-  'মুকুল ভূত' দেখছেন না কি রাজ্য বিজেপি নেতারা?

বিজেপির এই তালিকা নিয়ে দলের মধ্যেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। একের পর এক নির্বাচনে হারা রাহুল সিনহা কোন মন্ত্রবলে ঠাঁই পেলেন? বাবুল সুপ্রিয়, শমীক ভট্টাচার্য ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে কেন উপেক্ষা করা হল? লড়াকু নেত্রী হিসেবে রূপা ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন। অন্যদিকে, কার্যত একার দমেই আসানসোলের মতো কেন্দ্র থেকে জিতেছেন বাবুল সুপ্রিয়। সুবক্তা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। বাদ গিয়েছেন অন্যান্য পোড়খাওয়া বিজেপি নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর, দীর্ঘদিনের নেতা তথা জাতীয় সম্পাদক হিসেবে রাহুল সিনহাকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া মুকুল-দিলীপেই ভরসা রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। 

আরও পড়ুন- মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে সিঙ্গুরের চাষিরা

বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে সম্ভবত সংগঠনে বেশি জড়াতে চাইছেন না অমিত শাহ। আর রূপার ক্ষেত্রে বিষয়টা আবার আলাদা। অনেক সময়ই দলকে কিছু না জানিয়েই যেখানে সেখানে চলে যান তিনি। সোমবারও কাউকে না জানিয়েই রূপা জিডি বিড়লা স্কুলে চলে গিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কতটা ভাল ফল করে, তার উপরেই নির্ভর করছে এই চার মুখের ভবিষ্যত্। বলাই বাহুল্য, ফল খারাপ হলে সুর চ়ডাতে পারেন দলের ব্রাত্যরা। তাই বলা যেতে পারে, পঞ্চায়েত নির্বাচনই হতে চলেছে মুকুল-দিলীপের কাছে অ্যাসিড টেস্ট।   
 

.