নান্টু হাজরা: ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডুল কাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার আজ বৃহস্পতিবার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বিতীয়বার সমীক্ষা বৈঠকে বসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্টার, লিয়াজো অফিসার এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে এই সমীক্ষা বৈঠক করেন। ‘এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভেশন রোস্টার কমপ্লিট করে আমাদের দিতে হবে না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে জানান অরুন হালদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না, আপনারা পাশে থাকুন'


ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডুল কাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার জানান, ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডুল কাস্ট ভারত সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিন বছরের জন্য নির্বাচিত করেন। বাংলা থেকে এই প্রথম কোনও ভাইস চেয়ারম্যান পেল। সেই কারণেই বাংলার প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। বাংলার প্রকৃত দশা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই এসসি-দের রিজার্ভেশন পদ্ধতি খুবই খারাপ। তিন চার মাস আগে প্রতিটা ইউনিভার্সিটিতে ব্যক্তিগতভাবে ভিজিট করেছিলাম, তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিছু টাস্ক তাদেরকে দিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলো নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সমীক্ষা বৈঠকে বসলাম। আজকে চারটে ইউনিভার্সিটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়’।


এই রিজার্ভেশন রোস্টার বিষয়ে এরা ট্রেইন্ড নয়, এটা পরিষ্কার বোঝা গেল। প্রথমেই বলেছি যে একটা লেজেন্ড অফিসারদেরকে দিয়ে ট্রেনিং করান। ট্রেনিং করার পরে রিজার্ভেশন রোস্টারটা যেভাবে তৈরি করতে হয় সেইভাবে আপনারা নিয়ম অনুযায়ী করুন না হলে কখনোই এই রিজার্ভেশন সেক্টরে ১০০ শতাংশ আপলিফ্টমেন্ট পুয়োরেস্ট অফ দ্য সোসাইটি এবং ডাউনট্রডেন পিপলদের সম্ভব হবে না। সেই জায়গাটায় দেশের নামকরা প্রথিতযশা  বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যদি এরকম রিজার্ভেশন ভায়োলেশন হয়, তাহলে সমাজের কাছে বাজে বার্তা যাবে। ইমিডিয়েট ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এর আগে তিন মাস টাইম দিয়েছিলাম করতে পারেনি। এবার আমরা খুব সিরিয়াসলি ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদি এক মাসের মধ্যে করতে না পারেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয় কম বেশি একই অবস্থা। দুই একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। উনারা সবাই ভুলটা স্বীকার করেছেন। আমরা আশাবাদী আগামী দিনে বিষয়টা ঠিক জায়গায় যাবে।


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: 'অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক', বেনজির সংঘাতে হাইকোর্ট-তৃণমূল


তিনি আরও বলেন, সবথেকে ভয়ংকর অবস্থা যেটা শুনলাম বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। স্যাংশন করা স্ট্রেন্থ-এর থেকেও লোক বেশি নিয়ে বসে আছে। বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার চাপের কারণে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেখানে ঠিকমত কাজটা করতে পারছে না। এটা আমাদের জানা ছিল না। স্যাংশনের থেকে বেশি স্ট্রেংথ ক্যাজুয়ালি বেশি নিয়ে বসে আছে। তাহলে নতুন নিয়োগ হবে কি করে। এই ব্যাপারটাতে কেউ ঘা দিতে পারছে না। এটা খুব উদ্বেগের বিষয়। ভাবতে পারিনি এরকম একটা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চরম নৈরাজ্য চলছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা খোঁজ খবর নেব।


যেখানে যেখানে তফশিলি সমাজের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে তাদের সেফগার্ড করার কাজ কমিশনের। আমরা এই বিষয়টা নিয়ে সর্বস্তরে কথা বলব এবং সরকারকে চিঠি লিখব। এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভেশন রোস্টার কমপ্লিট করে আমাদের দিতে হবে না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)