নিজস্ব প্রতিবেদন : শিশুদের খেলাধূলার সময় হই-হুল্লোড়, চিৎকারে মাথা গরম! আর তাতেই বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে ২ বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ উঠল পড়শির বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বড়বাজার থানা এলাকার নন্দরাম মার্কেটের ১১৩ নেতাজি সুভাষ বসু রোডের এই ঘটনায় হাড়হিম হয়ে গিয়েছে শহরবাসীর। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনয়ায় গোটা এলাকা এখন শোকস্তব্ধ। অভিযুক্ত পড়শিকে রবিবার রাতেই আটক করে পুলিস। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১১৩ নেতাজি সুভাষ বসু রোডের পাঁচতলা বাড়িটিতে একাধিক পরিবারের বসবাস। বাড়ির পাঁচ ফুটের সরু গলির উপরে টানা বারান্দায় তিন শিশু মিলে প্রায়ই হইহই করে খেলত। রবিবারও খেলছিল। মেয়েটি ৪ বছরের, সঙ্গে তার ২ বছরের ভাই। সঙ্গী অন্য শিশুটি বছর ছয়ের। জানা গিয়েছে, বাচ্চাদের এই হুড়োহুড়ি, চেঁচামেচি নিয়ে পড়শি প্রৌঢ় শিবকুমার গুপ্ত প্রায়ই মাথা গরম করতেন। অভিযোগ, রবিবার রেগেমেগে ৩টি শিশুকেই পাঁচতলা থেকে ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। 


দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন এক মা। কোনওরকমে মেয়েটিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু অন্য ২টি বাচ্চাকে নীচে ছুঁড়ে ফেলেন পড়শি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ বছরের শিশু শিবম সাউয়ের। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ বছরের বিশাল সাউ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে পড়শি শিবকুমার গুপ্তকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সন্ধেয় চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে বারান্দায় এসে তাঁরা দেখেন, সরু গলির উপর পড়ে রয়েছে একটি শিশু। আর একটি শিশুকে চ্যাংদোলা করে তুলে ফেলে দিচ্ছে অভিযুক্ত শিবকুমার! সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা চিৎকার করে উঠেন। কিন্তু ততক্ষণে অন্য শিশুটিকে ফেলে দেয় সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নানা বিষয়েই ২ পরিবারে গোলমাল হত। লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ২ পরিবার। মাঝে মাঝেই ঝামেলা বাধত। কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক হতে পারে, তা তাঁরা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।


আরও পড়ুন, এবার থেকে সব মৃত্যুর পর করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ভবনের