নিজস্ব প্রতিবেদন: নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনে বাড়ছে রহস্য। ঘটনার তদন্তে এবার কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্ত শুরু করেছে হোমিসাইড শাখা।বৃহস্পতিবারই ওই বাড়িতে যান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা। গোটা বাড়ি খতিয়ে দেখেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। তাদের মধ্যে কয়েকজন ওই বাড়িরই ভাড়াটিয়া। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে একজন রঙের মিস্ত্রি। এছাড়াও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে ওই বাড়িতে কাজ করতে আসা কয়েকজন রঙের মিস্ত্রি। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, খুনি বৃদ্ধ দম্পতির পূর্ব পরিচিত। এছাড়াও এই বাড়িতে কোথায় কী রয়েছে, কোথায় আলমারির চাবির গোছা থাকত, তা ভালোভাবেই জানত আততায়ীরা।


এই ঘটনার পরতে পরতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। রহস্য দানা বেঁধেছে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ির আলমারির একটি চাবিকে ঘিরে। বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ৯টি আলমারি রয়েছে। ঘটনার দিন প্রায় প্রত্যেকটি আলমারির চাবি খুলে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। শুধুমাত্র একটি আলমারির চাবি খুলতে পারেনি তারা।    


ওই আলমারিতেই দম্পতির ৩০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও আড়াই লক্ষ টাকার গয়না রাখা ছিল। পুলিস মনে করছে, ওই আলমারিতেই যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা ছিল, তা আততায়ীরা জানত। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেদিন নেতাজিনগরের ওই বাড়িতে ‘অপারেশন’ চালিয়েছিল আততায়ীরা।


নিজের খাসতালুকেই কাটমানি আদায়ের নামে পড়ল পোস্টার, বেজায় অস্বস্তিতে মুকুল-শুভ্রাংশু


উল্লেখ্য, পুলিসও প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ওই আলমারির চাবি খুঁজে পেয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতি ওই আলমারির চাবিটি অনেক সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এত সযত্নে আলমারির চাবি লুকিয়ে রেখেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি? তবে কি তাঁরা আগে থেকেই কিছু আঁচ করতে পেরেছিলেন? এছাড়াও নিঃসন্তান ওই দম্পতি একটি উইল তৈরি করে গিয়েছিলেন। সেই উইল কোথায় রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


সব কিছুর পরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সত্যিই কি লুঠ করারই ছিল খুনিদের মুখ্য উদ্দেশ্য? নাকি পুলিসের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর জন্যই তারা একাজ করেছে। এই ঘটনার আড়ালে কি তবে অন্য কিছু লুকিয়ে রয়েছে? তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।