নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে পাগলা, মা হারালে মা পাওয়া যায় না।' অমরত্ব লাভ করেছে বাংলা সিনেমার তখনকার নায়ক, বর্তমানে তৃণমূল বিধায়কের চিরঞ্জিতের এই সংলাপ। শোভন-বৈশাখী ও রত্না- ত্রয়ীর ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপোড়েনে সে সব এখন অতীত। স্বামীর বিপদে যেভাবে ছুটে গিয়েছেন পতিব্রতা রত্না, তা দেখে নেটিজেনরা বলছেন, 'এরপর যদি পেয়ে যাও জামিন,কেটে যায় জেলের ভয়। মনে রেখো বউ ছিল পাশে। সুন্দরী বান্ধবী নয়।' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


রত্নার সঙ্গে শোভনের দূরত্ব। শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর 'বন্ধুত্ব'। তার পর শোভনের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা,  বিজেপিতে যোগদান ও পদত্যাগ- গত ৩ বছর ধরে কারণে-অকারণে বারেবারে শিরোনামে এসেছে ত্রিকোণ সম্পর্ক। তাতে নতুন পর্ব যোগ হয়েছে সোমবার, শোভনের গ্রেফতারির পর। আইনজীবীকে নিয়ে সোজা নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন রত্না। তাঁর কথায়,'এখনও আমরা স্বামী-স্ত্রী। বিপদের দিনে শোভনবাবুর পাশে দাঁড়ানোই আমার কর্তব্য।'   



নিজাম প্যালেসে মাকে সঙ্গ দিয়েছেন পুত্র ঋষি। গ্রেফতারের পর সিবিআই নথিতে স্বাক্ষরও করেছেন রত্না। আইনজীবীর শলা-পরামর্শও নিয়েছেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তিনি। তবে দেখা যায়নি শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তা দেখেই নেটিজেনরা মশকরা করে বলছেন,'এরপর যদি পেয়ে যাও জামিন, কেটে যায় জেলের ভয়। মনে রেখো বউ ছিল পাশে। সুন্দরী বান্ধবী নয়।'                                            
         
সন্ধেয় শ্রান্ত রত্না বাড়ি ফেরেন। মায়ের নির্দেশে থেকে যান শোভনপুত্র ঋষি। ভোটের প্রচারেও রত্নার পাশে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সোমবারও পুত্রের কর্তব্য পালন করেছেন ঋষি। রাতে প্রেসিডেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয় শোভনকে। সেখানে যান ঋষিও। রাতে প্রেসিডেন্সি জেল চত্বরে পৌঁছে যান বৈশাখী। জেলের ফটকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আর্জি করেন, ''একবার দেখতে দিন। ওষুধটুকু দিতে দিন।'' তখনও সেখানে ছিলেন শোভনপুত্র। শোভনের এমন 'ভাগ্যে' ঈর্ষান্বিত নেটিজেনদের একাংশ। ফাজিলরা বলছেন,''বউ নিয়ে যাচ্ছে উকিল, বান্ধবী ওষুধ, এটাই পুরুষের অচ্ছে দিন।'              


আরও পড়ুন- 'ওঁর ওষুধ, ওঁর সব কিছু আমার কাছে,' প্রেসিডেন্সির দুয়ারে ভেঙে পড়লেন শোভনের বৈশাখী