ওয়েব ডেস্ক: ছুটির সকালে অভিজাত এলাকায় খুন। নিউ আলিপুরের O ব্লক থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে পুলিস। আতসকাচে বৃদ্ধের আয়ার ছেলে। খবর পেয়ে পৌছে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নিউ আলিপুরের O ব্লক.....শহরের অভিজাত এলাকা....আর এখানেই সাত সকালে উদ্ধার বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ... দুদিকে বাগান। তারইমধ্যে বিশাল দোতলা বাড়ি। এখানেই থাকেন বৃদ্ধ মলয় মুখোপাধ্যায়। সম্পর্কে প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা হীরেন মুখোপাধ্যায়ের ভাইপো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার, সকাল ৬.৩০। আর পাঁচটা দিনের মতোই মলয়বাবুর ঘরে ঢোকেন আয়া কবিতা দাস।কিন্তু, এদিন চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন নিজের বিছানায় পড়ে মলয়বাবু। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা বিছানা। বছর বিরাশির বৃদ্ধের নাক-কান-মুখে রক্ত। তড়িঘড়ি খবর যায় নিউ আলিপুর থানায়। পৌছন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা।


তদন্তে নেমে দেখা যায়.. মলয় মুখার্জির ওয়ালেট-চশমা এদিক-ওদিক ছড়ানো । আলিমারি-দেরাজ-সুটকেসের জিনিসপত্র তছনছ। মেজেনাইন ফ্লোরে থাকতেন মলয়বাবু। দোতলায় তাঁর একমাত্র ছেলে শুভ্রজিত্‍ ও তাঁর স্ত্রী। তারই পাশের ঘরে থাকতেন কবিতা। বাড়ির সব দরজা জানালাও বন্ধ ছিল। তাহলে কী করে ঢুকল আততায়ীরা?


তদন্তে নেমে পুলিসের নজর যায় পিছনের ঘোরানো সিঁড়ির দিকে.. আততায়ীদের গতিবিধি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আনা হয় পুলিস কুকুরও। কিন্তু, লাভ হয়নি বিশেষ। স্নিফার ডগ বাঁদিকে আবাসনের গেট পর্যন্ত এসে ফিরে যায়। ঘটনাস্থলে আসেন প্রবীণ ত্রিপাঠি, অপরাজিতা রাই সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ পুলিস কর্তা।  তদন্তকারীদের অনুমান... বাইরে থেকে এক বা একাধিক আততায়ী ভিতরে ঢোকে। মলয়বাবুর শ্বাসরোধ করে খুন করার পর বেরিয়ে যায়। কিন্তু, বাড়িতে তিন-তিনজন লোক থাকা সত্ত্বেও কেন কেউ কিছু টের পেলেন না?


প্রশ্ন উঠছে... একতলার দরজা ভাঙার চেষ্টা করল আততায়ীরা.. তারপর দোতলার তার জালি কাটার চেষ্টা হল... কিন্তু তারপরও কেউ কেউ কিছুই টের পেলেন না? আততায়ীদের খোঁজে আয়া কবিতা দাসের ছেলে তারককে জেরা করে পুলিস। ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।