নিজস্ব প্রতিবেদন: তাহলে কি সর্ষের মধ্যে লুকিয়ে ভুত? হুবহু আসল নথির মতো সরকারি নথি বানাতে সিদ্ধহস্ত ছিল দেবাঞ্জন। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ফের প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। অভিযুক্তের কীর্তিতে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠেছে, ভিতরের কেউ সাহায্য় না করে থাকেন, তাহলে কিভাবে একাজ করা সম্ভব?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, খালি চোখে দেখলে সন্দেহের কোনও অবকাশই থাকে না। হুবহু আসল নথির মতো বিভিন্ন সরকারি দফতরের নিয়োগপত্র বানিয়ে বহু লোককে চাকরি দিয়েছিল দেবাঞ্জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় জানিয়েছেন, রীতিমতো ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁকে I & CA তে চাকরি দেওয়া হয়। পরে কোভিড শুরু হতে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় কেএমসি-র  কসবা অফিসে। নিয়োগপত্রে আবার সই করেছিলেন খোদ কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়!  তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই জালিয়াতি চক্রে দেবাঞ্জনের সঙ্গী ছিল সে। সমস্ত জাল নিয়োগপত্রে সই করেছে ওই মহিলাই।


আরও পড়ুন: পুরসভাই নয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের 'জাল চিঠি' দিয়ে রক্ষী নিয়োগ Debanjan-র!


তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের সমস্ত কর্মীদের বেতন দেওয়া হত WB FinCorp-র অ্যাকাউন্ট থেকে। এই অ্য়াকাউন্টটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের। সরকারি চাকরির বেতন বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ঢুকছে কেন? সন্দেহ হয়েছিল অনেকেরই। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কলকাতা পুরসভার মতোই অর্থ দপ্তরের নথি জাল করে বেসরকারি ব্য়াঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দেবাঞ্জন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)