নিজস্ব প্রতিবেদন: অপেক্ষার অবসান। ফিরছে কলকাতার সায়েন্স সিটির জনপ্রিয় স্পেস থিয়েটার। সংস্কার ও নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য অর্ধগোলাকৃতি এই প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ ছিল প্রায় ৬ মাস। ফলে সায়েন্স সিটি গিয়ে বিরসবদনে ফিরতে হচ্ছিল বিজ্ঞান অনুসন্ধিত্সু জনতাকে। সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে তাড়াতাড়ি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, স্পেস থিয়েটার সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। মার্কিন সংস্থাকে দিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক থ্রিডি স্ক্রিন। সঙ্গে বসেছে ৬টি প্রেক্ষণযন্ত্র। যা কাজ করবে একসঙ্গে। 


গত ২ দশক ধরে প্রায় ৭২ লক্ষ মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর নানা তথ্যচিত্র দেখেছেন এই স্পেস থিয়েটারে। সায়েন্স সিটির অন্যতম আকর্ষণ অর্ধগোলাকৃতি এই প্রেক্ষাগৃহ। শুধু বাইরে থেকে নয়, প্রেক্ষাগৃহের চিত্রপটটিও গোলাকার। এতদিন সেখানে ছবি দেখানো হত পুরনো টুডি প্রযুক্তিতে। যার থেকে বর্তমান থ্রিডি প্রযুক্তিতে আরও স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত বলে দাবি সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষের। 


মঙ্গলের বায়ুপ্রবাহের শব্দ পাঠাল NASA-র যান ইনসাইট


গত এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল স্পেস থিয়েটার। পরিসংখ্যান বলছে সায়েন্স সিটির প্রতি ৪ জন দর্শকের মধ্যে একজন স্পেস থিয়েটারে তথ্যচিত্র দেখেছেন। সেই পুরনো স্পেস থিয়েটারেই আদিম জীব থেকে ভবিষ্যতের মানুষ, এবার থেকে হয়ে উঠবে আরও সজীব।


জানা গিয়েছে সায়েন্স সিটির নতুন পর্দাটি বসিয়েছে অ্যাস্ট্রোটেক নামে একটি মার্কিন সংস্থা। পুরনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুলে নতুন পর্দা বসাতে সময় লেগেছে একটু বেশিই। নতুন ব্যবস্থায় ক্রিস্টি ডিজিটালের প্রেক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জাইসেই অপটিক্স। চলতি মাসেই নতুন রূপে স্পেস থিয়েটার চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স মিউজিয়ামসের নির্দেশক এডি চৌধুরী।