নিজস্ব প্রতিবেদন: এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করতে এবার শহরে এল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল। ইতিমধ্যেই এই এনকাউন্টার নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। দুই গ্যাংস্টারের পরিবারও এসেছে শহরে৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৮ থেকে ১০ সদস্যর দলে রয়েছেন ব্যালেস্টিক বিশেষজ্ঞরা। ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন এই দলে। জানা গিয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করবে এই বিশেষজ্ঞ দল। আইনের ক্ষেত্রে এই এনকাউন্টার কতটা যুক্তিযুক্ত তা খতিয়ে দেখবে এই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। 


সূত্রের খবর, এনকাউন্টারের সব দিক বিচার করতে এই দলে থাকবে বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা। কোন পজিশন থেকে ফায়ারিং হয়েছে, কেন এলোপাথারি গুলি চালিয়ে কোন পক্ষ, আদৌ তা প্রয়োজন ছিল কি না সেই সব তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করবে এই দলটি। এরপর পুলিসের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন, গ্যাংস্টারের ব্যাগেই লুকিয়ে পাক-যোগ! গা শিউরে উঠবে Newtown Encounter-এর ভিতরের তথ্যে


অন্যদিকে, এনকাউন্টারে নিহত দুই গ্যাংস্টারের দেহ নিতে কলকাতায় এসেছে তাদের পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতেই টেকনোসিটি থানায় যান জয়পাল ভুল্লারের বাবা। শুক্রবার সকালে আরেক গ্যাংস্টার যশপ্রীত সিং খাড়ারের পরিবারও এসেছে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। যদিও ময়নাতদন্তের পরই দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।


একজনের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা, আর একজনের ৫ লক্ষ।  পঞ্জাবের দুই পুলিস কর্মীকে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র কারবারে সঙ্গে জড়িত ছিল জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার। নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনে গা-ঢাকা দিয়েছিল দু'জনেই। পাঞ্জাব পুলিসের দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে দিনেদুপুরে নিঁখুত অপারেশন চালায় রাজ্যে পুলিসের এটিএফ। মিনিট ১৫ গুলির লড়াইয়ে খতম দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। আহত হন অপারেশনের লিডে থাকা অফিসার কার্তিকমোহন ঘোষ।


নিউটাউনকাণ্ডের তদন্তে (Newtown Shootout) ক্রমেই জাল গোটাচ্ছে পুলিস। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পঞ্জাবের গ্যাংস্টারদের শিকড় খুঁজতে গিয়েই সামনে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নাম। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থেকে কেনা হয় সিম কার্ড।