নিজস্ব প্রতিবেদন: মা কালী স্বয়ং বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন,করোনার সময়ে বাজি নয়! পথের মধ্যে হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেল কালী ঠাকুরের সঙ্গে। তিনিও তাই বোঝালেন-- এ সময়ে বাজি ফাটিও না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যাপার কী? কালীপ্রেমী বঙ্গজনের সাধনায় তুষ্ট  হয়ে কি মা কালী স্বয়ং এসে দেখা দিচ্ছেন ঘরে-ঘরে?


না! নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না, এ তেমন কোনও ঘটনা নয়। সাধক রামপ্রসাদের সময়ে মা কালী কন্যারূপে বেড়া বেঁধে দিতে আসতেন হয়তো! কিন্তু এখন আর এসব ঘটে না।  


ইনি হলেন 'করোনা কালী'! এলাকার লোকজন মজা করে সে নামেই ডাকছে এই কালীকে। এঁর এক হাতে খড়গ, অন্য হাতে কাটা-মুন্ডু , আছে পোস্টারও! এই কালী আসলে 'বহুরূপী'।


লকডাউন পরিস্থিতিতে খুবই দুর্দশা চলছিল এই বহুরূপীর। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, খাবারও জোটেনি এই সময়ে। এ হেন কোভিড-ভিক্টিম এই কালী পুজোয় জীবন্ত কালী সাজার কাজ পেয়েছেন। হাতে তাঁর করোনার কাটা মুন্ডু। 


বাগুইহাটি যুবক সঙ্ঘের উদ্যোগ এটি। ক্লাবের তরফে এই জীবন্ত কালী বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন আর মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করছেন। বার্তা দিচ্ছেন, এ সময়ে বাজি না ফাটানোর জন্য। 


হাইকোর্ট করোনা আবহে পরিবেশ দূষণ যাতে না বাড়ে সে জন্য বাজি পোড়ানোর বিষয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু তলায়-তলায় অনেকেই এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ। সকলেরই মনে হচ্ছে-- বচ্ছরকার দিনটিতে বাজি ফাটাব না! 


সাধারণ মানুষের মনের এই দ্বিধা দূর করার জন্যই ক্লাবটি সরাসরি গণসচেতনতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। আর এ দিকে জনসচেতনতার বার্তা দেওয়ার সূত্রে কর্মসংস্থানও হয়ে গেল পাড়ার 'কালীর'!


আরও পড়ুন:  চোদ্দ শাক খুঁজে হয়রান? ফোন করুন রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরে