নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরসি নিয়ে রাজ্যে বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে 'হিন্দুবিরোধী' অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ খণ্ডনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই সংগঠনের নেতারা। বিজেপির ছোট-বড় নেতা দাবি করছেন, হিন্দুরা এদেশেই থাকবেন। আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু নাগরিক অর্থাত্ মুসলিমরা বাইরে যাবেন। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের দিকে পাল্টা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরএসএসের রাজ্য সম্পাদক জিষ্ণু বসুর কথায়, ''হিন্দুরা শরণার্থী। তাঁরা এদেশ ছেড়ে কোথাও যাবেন না। বিদেশি মুসলিমদের দেশ ছাড়তে হবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের দেশের সব হিন্দুই নাগরিকত্ব পাবেন। তাঁরা মা-বোনের সম্মান খুঁইয়ে, সব কিছু হারিয়ে এদেশে এসেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা।''  
                   
এদিন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,''বাংলায় এনআরসি হবেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। একজনও হিন্দু বিতাড়িত হবেন না। বাকিদের প্রমাণপত্র দিতে হবে।''  



বলে রাখি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনওভাবেই এনআরসি হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ''বাংলার মানুষকে আশ্বাস করব, কোনও এনআরসি হবে না এখানে। আমাকে বিশ্বাস করেন তো! এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার করছে। এটা রাজনীতির হাতিয়ার। বাংলায় প্রশ্নই আসে না। হবে না হবে হবে না। ভয় পেয়ে লাইনে দাঁড়ানো। ভয় পেয়ে শরীর খারাপ করা। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। নিজের নামে জমি-বাড়ি আছে, আবার কী চাই? ভোট দেওয়া মানে নাগরিক, এটাই তো আপনার সম্বল। এটা ডিজিটাল রেশন কার্ড। এটা সুযোগ দেওয়া হটচ্ছে। এটার সঙ্গে এনআরসি-র সম্পর্ক নেই। চিন্তার কারণ নেই। আপনাদের কারও গায়ে হাত দিতে গেলে মমতার গায়ে হাত দিতে হবে। আপনাদের পাহারাদার ছিলাম, থাকব।''  


আরও পড়ুন- অসমে কংগ্রেসের আমলে এনআরসি হয়েছিল, দিল্লি থেকে ফিরে বললেন মমতা