সুতপা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনধ হচ্ছে না, সোমবার নবান্নতে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরুতেই দেশব্যাপী বনধ কর্মসূচি নেওয়া হবে, এ কথা  গত বছরই জানিয়েছিল বামেরা। নতুন বছরের শুরু থেকে সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো। রাজ্য তো বটেই সারা দেশব্যাপী বনধ পালনের জন্য লাগাতার সভা, মিছিল করেছে বাম নেতা, কর্মীরা। বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোও। এই রাজ্যে বনধের প্রচারে শ্রমিক যুবদের পাশে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে এসএফআইকেও। যদিও সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এই বনধ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। এখনও যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বনধে সেভাবে সাড়া দেবে না ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিলেন  ৮ ও ৯ জানুয়ারি কোনও বনধ হচ্ছে না।


আরও পড়ুন- মঙ্গল, বুধের বনধ রুখতে কড়া নবান্ন, শক্ত হাতে মোকাবিলার নির্দেশ প্রশাসনকে


বরং বামেদের বনধের সমালোচনা-ই করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩৪ বছরে অনেক বনধ দেখেছি। আমরা বনধের বিরুদ্ধে। কাল, পরশু কোনও বনধ হচ্ছে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাও ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজেদের দফতরে। তৃণমূল নেতারা এই একই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে জেলায়-জেলায়। ব্লকে-ব্লকে। এমনকি প্রশাসনিক কর্মীরাও বামেদের ডাকা এই বনধকে উপেক্ষা করছেন।


আরও পড়ুন- মঙ্গল ও বুধবার রাজপথে ৩ হাজার পুলিস ফোর্স, বনধ রুখতে কড়া লালবাজার


গত বছর এ রাজ্যে ২টি বনধের ছবি আমরা দেখেছি। একটি ছিল বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ। যদিও এপ্রিলের সেই বনধ ১২ ঘণ্টার বদলে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তারা। আরেকটি বনধ ডেকেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ইসলামপুরের ঘটনার প্রতিবাদে বনধ ডেকেছিলেন দিলীপ ঘোষরা। সেটাও মুখ থুবরে পড়ে। যদিও এই দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক দফতরগুলোতে একটি বাড়তি তত্পরতা দেখা গিয়েছিল। বনধের আগের দিন রাতে অফিসেই থেকে গিয়েছিলেন কর্মীরা। নবান্ন ও রাইটার্সে ছবিটা একই ছিল। এবার এমন কোনও ছবিই দেখা গেল না। বনধের আঁচ-ই গায়ে লাগছে না তাদের। মঙ্গলবার পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে ধরে নিয়েই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর মতো তাঁদেরও দাবি, এবার কোনও বনধ হচ্ছে না।