নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), এনআরসি (NRC) নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না বিধানসভায়। সিদ্ধান্ত হল বিএ কমিটির বৈঠকে। বিধানসভায় CAA, NRC নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু রাজি হননি অধ্যক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে বাম এবং কংগ্রেস প্রস্তাব দিয়েছিল সব দল যৌথভাবে এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনুক। ঠিক যেভাবে কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাম এবং কংগ্রেসের এই বক্তব্যে রাজি হননি। স্পিকার জানান, বিধানসভায় এখন অন্য কোনও আলোচনার সময় নেই।


এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করলে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তাঁকে বাধা দেন। বলেন, "আমরা সর্বসম্মত প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম। আপনারা রাজি হলেন না।" তাঁর কথায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা জবাব দেন, "আপনারা বনধের নামে গুন্ডামি করেছেন। আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কোনও আন্দোলন করা সম্ভব নয়।" এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, "আমি ১৩ তারিখ দিল্লির বৈঠকেও যাব না।"


মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। রীতিমত তর্কাতর্কি বেঁধে যায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের সদস্যদের মধ্যে। ১৩ তারিখ দিল্লিতে বিরোধী বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি সবার আগে পথে নেমে সিএএ-এনআরসির বিরোধিতা করেছি। যেভাবে কালকে বনধের নামে গুন্ডামি করা হয়েছে, তারপর এদের সঙ্গে একসাথে আন্দোলন করা সম্ভব নয়। আমি দিল্লিতে অল পার্টি মিটিংয়েও সেই কারণে যাব না।"


আরও পড়ুন, ব্যাকফুটে বিজেপি, ভাটপাড়া পুরসভার আস্থা ভোটে শিলমোহর হাইকোর্টের


বিধানসভায় CAA-NRC নিয়ে আলোচনা না করতে দেওয়া, দিল্লিতে বিরোধী বৈঠকে যোগ না দেওয়া, দুই ইস্যুতেই তৃণমূল নেত্রীকে একহাত নিয়েছেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেলিম তোপ দাগেন, "কে বিজেপি, আরএসএস-এর সঙ্গে, তা এই থেকে স্পষ্ট।" সোমেন মিত্র কটাক্ষ করেন, "অদ্ভূত যুক্তি দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।"