অমিতাভ নয়, অভিষেক! আনন্দপুরকাণ্ডের অভিযুক্তের সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক নির্যাতিতার

তবে জট কাটছে না। নির্যাতিতা মহিলার বয়ানে মিলেছে বিস্তর অসঙ্গতি। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। সূত্রের খবর, এক সময়ে দু-জনের সহকর্মী ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আনন্দপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। অভিযুক্তকে অবশেষে চিহ্নিত করল পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আটক করা হয়েছে গাড়ি। তদন্তে উঠে এসেছে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, অমিতাভ বসু নয়, অভিযুক্তের আসল নাম অভিষেক পাণ্ডে। পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত অভিষেক।
তবে জট কাটছে না। নির্যাতিতা মহিলার বয়ানে মিলেছে বিস্তর অসঙ্গতি। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। সূত্রের খবর, এক সময়ে দু-জনে সহকর্মী ছিলেন। তাহলে এই দীর্ঘ পরিচয়ের কথা কেন গোপন করলেন মহিলা? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিসকে। কী আড়াল করার তাদিগে এমন বয়ান, অসঙ্গতি খতিয়ে দেখছে পুলিস। অন্যদিকে নীলাঞ্জনার পরিবারের তরফে আনন্দপুর থানায় FIR করা হয়েছে অভিষেকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচার সফল! আনন্দপুর কাণ্ডে 'সাহসিনী' নীলাঞ্জনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্য়াটের সামনে থেকে হন্ডাসিটি করে আনন্দপুরের নির্যাতিতাকে ঘুরতে নিয়ে যায় অভিষেক পাণ্ডে নামে ওই অভিযুক্ত। প্রথমে পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁরা। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন কিছুক্ষণ। তারপর অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগর। তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে নয়াবাদে বাড়িতে ছাড়ার জন্য বললে চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিষেক। বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করা হয় তরুণীকে।
তদন্তে নেমে পুলিস মহিলাকে নিয়ে পাটুলির রেস্তোরাঁয় যায়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ম্যানেজারকেও। বাইপাসে যে সব সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটজে থেকে গাড়ির নম্বর উদ্ধার করে আটক করা হয়েছে গাড়িটি। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। উল্লেখ্য, আনন্দপুরকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা। এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।