শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: উৎসবের মরশুমে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। চতু্র্থীতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ। শূন্য়পদের সংখ্য়া এগারো হাজারের মতো। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের মধ্যে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমনকী ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরাও। ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন জানানো যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। একাধিক মামলা চলছে হাইকোর্টে। দুর্নীতি মামলার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফের কবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে? চলতি মাসের গোড়ার দিকে প্রথমবার বৈঠক বসেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নবগঠিত অ্য়াডহক কমিটি। সেই বৈঠকেই পুজোর পর ফের প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেলাভিত্তিক নয়, কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ করা হবে। স্রেফ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নয়, ইতিমধ্যেই এ বছরের টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে পর্ষদ। কবে? ১১ ডিসেম্বর।


আরও পড়ুন: SSC Scam, Priyanka Shaw: বাড়ির কাছেই স্কুলে চাকরি; প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট


এদিকে  আদালতের নির্দেশে ইন্টারভিউয়ের পর নিয়োগপত্র বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে  ১৮৫ জন কর্মপ্রার্থীর।  ২০১৪ সালের টেট ভুল প্রশ্নের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৮৭ জন। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন 'অ্যাটেন্ড' করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হত, তাহলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা।  কেন নিয়ম মানা হল না? হাইকোর্টে সশরীরের হাজিরা দিতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। স্রেফ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তাঁদের ইন্টারভিউতে ডাকা হয় তাঁদের। পর্ষদ সূত্রে খবর, সমস্য়ার কারণে আপাতত ২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পেয়ে যাবেন তাঁরা।.


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর, এখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। পর্ষদের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটিও তৈরি করেছে রাজ্য। এই কমিটিতে রয়েছেন সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি-সহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ। প্রত্যেকের মেয়াদ এক বছর।  এমনকী, আর্থিক দুর্নীতি রুখতে ফিন্যান্স কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্ষদের নয়া সভাপতি। এই কমিটির জন্য ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের কাছে ২ জন  বিশেষজ্ঞের নাম চাওয়া হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)