ওয়েব ডেস্ক: বিলম্বিত বোধোদয়। পুজোকে হাতিয়ার করে এবার গভীর জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সিপিএম। মানুষের কাছে নতুন করে পৌছতে পুজোকেই বেছে নিচ্ছে আলিমুদ্দিন। একটা সময় তারাপীঠে পুজো দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সুভাষ চক্রবর্তীকে। হজে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। এমন ধর্মীয় কার্যকলাপকে  কোনওকালেই ভালচোখে দেখেনি সিপিএম। তখনও অবশ্য বাংলার ক্ষমতায় বামফ্রন্ট। আটানব্বইয়ে তৃণমূলের জন্ম হলেও শক্তিবৃদ্ধি হতে কিছুটা সময় লাগে। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে পৌছতে পুজো, রাখিবন্ধন, রক্তদান শিবিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনসংযোগের কাজে দলীয় নেতা-কর্মীদের আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়ার কথা বলেন  তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক ভোটে তাঁর প্রভাবও পড়তে থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সুইসাইড নোটে সুরজিত মালোর মর্মান্তিক আবেদন!


২০১১-য় বাংলায় ক্ষমতাচ্যুত বামফ্রন্ট। ২০১৪-র লোকসভায় ভরাডুবি। ২০১৬-য়  কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও শোচনীয় পরাজয়।ক্রমশ আলগা হচ্ছে পার্টির জনসংযোগের শিকড়। অবশেষে বিলম্বিত বোধোদয়। এখন আর শুধু বইয়ের স্টলই নয়, পুজোর ভিড়ে দর্শণার্থীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি সিপিএমের যুব নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, শারদ শুভেচ্ছা জানাতে কার্ডও তৈরি করে ফেলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। এভাবেই জনসংযোগ বাড়াতে তত্পর আলিমুদ্দিন।সদ্যসমাপ্ত সাংগঠনিক প্লেনামে শুদ্ধিকরণের বার্তা দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। শুধু সেই বার্তাই নয়। জোর দেওয়া হচ্ছে জনসংযোগেও। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে সিপিএম। সেকারণে জনসংযোগে আগের আমলের সংকীর্ণতা ভেঙে পপুলিজমেই আস্থা রাখতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব।  সেই কৌশলী পদক্ষেপ উত্‍সবের মরশুমেই শুরু করে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন।


আরও পড়ুন  একমাসের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিস