সুতো কেলেঙ্কারি! শিশু মৃত্যুর জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল এনআরএসের SNCU
গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছিল ১০ দিনের এক শিশুর। সূত্রের খবর, এর আগেও খারাপ সুতোর শিকার আরও ২৩ শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিশু মৃত্যুর জেরে বেনজির সিদ্ধান্ত নিল এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার শেষপর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল হাসপাতালের SNCU বা সিক অ্যান্ড নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২ শিশুর।
আরও পড়ুন-ভুবনেশ্বরে সেটিং, যারা ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিল তাদেরও জামাই আদর মমতার পুলিসের: সোমেন
কেন এভাবে মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সুতোয় সংক্রমণ নাকি অস্ত্রোপচারের টেবিলে কোনও সংক্রমণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওটি জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপাতত এসএনসিইউয়ে ভর্তি শিশুদের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, নিম্নমানের সুতো ব্যবহারের ফলে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল এনআরএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছিল ১০ দিনের এক শিশুর। সূত্রের খবর, এর আগেও খারাপ সুতোর শিকার আরও ২৩ শিশু। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকবাবেই উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। যদিও এবিষয়ে মুখ খোলেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৬ ফেব্রুয়ারি এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি হয় মালদার গাজোলের বাসিন্দা ১৮ দিনের শিশু। ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার হয় তার। অভিযোগ, সেলাই ছিঁড়ে যাওয়ায় ২৪ ফেব্রুয়ারি পরিবারকে নতুন সুতো কিনে আনতে বলা হয়। শনিবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ পরিবারকে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে এত মানুষের প্রাণ গেল কেন; জবাব দিন, শাহকে নিশানা অভিষেকের
এই ঘটনায় উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। এখানেই প্রশ্ন কেন বারংবার রোগীর পরিবারকে বাইরে থেকে সুতো কিনতে বলা হয়েছে। এর আগেও নিম্নমানের সুতো ব্যবহার করায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় বাদুড়িয়ার বাসিন্দা ১০ দিনের এক শিশুর। এক্ষেত্রেও ওই একই অভিযোগ ওঠে। এত কিছুর পরেও কেন আরও একটু যত্নবান হল না হাসপাতাল। সরবারহকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।