নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈঠকেও মিলল না রফা সূত্র। রাতভোর রণক্ষেত্র এনআরএস। রোগী মৃত্যুর জেরে সোমবার মধ্যরাতেই খনণ্ডযুদ্ধ বাঁধে রোগী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের। লাগাদার ইঁট বৃষ্টিতে গুরুতর জখম হন দুই জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিউরো সায়েন্সে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়-সহ আরও এক হবু চিকিৎসক। কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে পরিবহ। তাঁর ফ্রন্টাল বোনে আঘাত গুরুতর। নিন্দনীয় এই ঘটনায় রোগীর পরিবারে দুজনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর নিউরো সায়েন্সে গিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে এআরএসেও পৌঁছেগিয়েছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! বন্ধ এনআরএসের পরিষেবা, অথৈ জলে রোগী এবং তাঁদের পরিবার


উল্লেখ্য, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সকালে ভেঙেছে ধৈর্য্যের বাঁধ। এদিন সকালে হাসপাতালের গেটের তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন রোগীর পরিবাররা। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পুলিস মোতায়েন রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের দ্রুত কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কাজের পরিবেশ সুস্থ না হলে কর্মবিরতি চলবে বলেই সাফ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিসি নিরাপত্তা কোথায় এমনটাই প্রশ্ন তাঁদের। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধ্যক্ষ, সুপারের, ডেপুটি সুপারের, সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র, উপস্থিত ছিলেন পুলিস আধিকারিকাও। প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ঢোকা মাত্রই প্রদীপ মিত্রকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিলেও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তবে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, রোগীদের কোনওরকম অসুবিধা হবে না। প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 


এখানেই শেষ নয়। এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে কার্যত গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ একাধিক হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ইন্টার্নরা। আশঙ্কা এর ফলে রাজ্য জুড়ে ব্যাহত হবে চিকিৎসা পরিষেবা। ভোগান্তি বাড়বে রোগীদের।