নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যাচারিত হওয়ার জন্য নয় অধিকার ফিরিয়ে দিতে ৮৭ বছরের বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ছেলেকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এবিটিএ- এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, সল্টলেকের বাসিন্দা ভবেশ মৈত্র তাঁর সব সম্পত্তি স্ত্রীকে লিখে দিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁদের একমাত্র পালিত পুত্রকে সেই সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান ভবেশ বাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা দেবী। কিন্তু কিছু বছর পর ভবেশবাবুর উপর শুরু হয় অত্যাচার। তারপর বৃদ্ধকে বাড়ি ছাড়া করে পালিত পুত্র। বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিচিতদের সঙ্গে কথাবর্তাও। সব শুনে হতবাক বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আজই বৃদ্ধকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, "গনতন্ত্রে কে কার সঙ্গে কথা বলবে, সম্পর্ক রাখবে তা কি কেউ ঠিক করে দিতে পারে"? এরপরই ভবেশবাবুর পালিত পুত্রকে ধমক দিয়ে বিচারপতি বলেন, অত্যাচার নয় বাড়িতে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে ৮৭ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে। আদালতের আরও নির্দেশ, আজকের মধ্যে সল্টলেকের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হবে বৃদ্ধকে। আর একাজে সাহায্য করবেন ভবেশবাবুর ভাগ্না-ভাগ্নি।


সল্টলেকের বাসিন্দা ভবেশ মৈত্র নিঃসন্তান। রাজ্যের প্রাইমারি বোর্ডের সূচনা হয়েছিল একপ্রকার তাঁর হাত ধরেই। শালির ছেলেকে সন্তান স্নেহে মানুষ করেন তিনি। ভবেশবাবুর স্ত্রী, সন্ধ্যা দেবী শান্তিনিকেতনে বিএড-এর রিডার ছিলেন। তাঁকেই সম্পত্তি লিখে দেন ভবেশবাবু।  মৃত্যুর আগে তাঁদের একমাত্র পালিত পুত্রকে সেই সম্পত্তি উইল করে দেন স্ত্রী সন্ধ্যা মৈত্র। তবে স্বামীকে বাড়িতে সারাজীবন থাকার বিষয়টিও জানিয়ে যান তিনি তাঁর উইলে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর চরম নির্যাতিত হন ভবেশবাবু। দার্ঘ লাঞ্ছনার পর আজকের এই রায়। বৃদ্ধের আইনজীবী পার্থ চক্রবর্তী বলেছেন, বুধবার বৃদ্ধকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পালিত ছেলে আশিস সেনগুপ্ত সরকারী কর্মী, তাঁর স্ত্রী সোমাদেবী শিক্ষিকা বলে জানা গেছে।