নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার দুপুর তিনটে থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অনলাইন ক্যাব পরিষেবা। শহরতলি তো বটেই কলকাতার বাইরেও চলবে না ওলা, উবর। সোমবার সন্ধ্যায় তিন দিনের এই ‘বনধ’ কর্মসূচির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল মালিকপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সল্টলেকে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া, মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছেলে


তাঁদের অভিযোগ অনলাইন ক্যাব পরিষেবায় সার্জ চার্জের গোটা অর্থই পকেটে পুরে নেয় কোম্পানি। মালিকরা একটা কানাকড়িও পায় না। শুধু তাই নয়। ওলা বা উবর ব্যবহারকারিদের অভিযোগে যখন তখন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে চালকদের আইডিও।  এতে চালকরা তো বটেই সমস্যায় পড়ছে ওলা, উবর মালিকদেরও। একই সঙ্গে অনলাইন ক্যাব পরিষেবার ভাড়া বাড়ানোর দাবিও করেছে তাঁরা। মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে সেভাবে ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে না। যার ফলে মাসের শেষে তেলের টাকাও না কি উঠছে না। এমনকি চালকদের ঠিক করে মাসোয়ারা দিতেও অসমর্থ হচ্ছে তাঁরা। এই সব সমস্যার সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ওলা, উবর মালিকপক্ষ।



ওলা, উবর ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সম্পাদক পার্থ সেন জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমজনতার দুঃখ, দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত। উনি নিশ্চয়ই আমাদের পাশে দাঁড়াবেন এবং আমাদের সমস্যা সমাধান করবেন। বাংলার বেকার যুবকদের জন্য তিনি গতিধারা প্রকল্প চালু করেছেন। কিন্তু এই প্রকল্প থেকেও ওলা, উবর মালিকরা সমস্যায় পড়ছে। গাড়ি বার করাই দায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই ডিজেল কিনতে পারছে না, পেট্রোল কিনতে পারছে না। ড্রাইভার দিতে পারছে না। ইএমআই দিতেও টান পড়ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।”     


আরও পড়ুন- নিরুপম সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে এই সমস্যা সমাধান করতে চাইলে ওলা, উবর ইউনিয়ন এগিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে বছর শেষের ফেস্টিভালের একেবারে প্রাক মুহূর্তে এভাবে হাজার হাজার গাড়ি তুলে নেওয়ায় সড়ক পরিষেবায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকই। চটজলদি সমস্যা সমাধানের আশায় আমজনতা।