নিজস্ব প্রতিবেদন: খাস কলকাতায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ। সোমবার সকালে নেতাজিনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দুটি দেহ। রহস্যজনক এই মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা। পৌঁছেছেন হোমিসাইট শাখার কর্তারাও। জানা গিয়েছে, বছর ৮০-র দিলীপ মুখার্জি এবং বছর ৭২-এর স্বপ্না মুখার্জি একাই থাকতেন ওই বাড়িতে। গত পরশুও তাঁদের পাড়ায় দেখেছেন স্থানীয়রা। এরপর টানা দেড় দিন তাঁদের দেখা না মেলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পুলিসে খবর দেন তাঁরাই। দরজা খোলার পরই পুলিস দেখেন একতলায় সিড়ির সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে স্বপ্নাদেবীর দেহ। দোতলায় লণ্ডভণ্ড ঘরের বিছানা থেকে বালিশ চাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দিলীপবাবুর দেহ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কলকাতার অভিজাত আবাসনে নীতি পুলিস-গিরির অভিযোগ, পুলিসে অভিযোগ তরুণীর


এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খুনের অনুমানকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিস। তদন্তে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তারপরেই জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আশেপাশের বাড়িতে ফুটেজ না থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা, গোটা এলাকা স্নিপার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বহুবছর ধরেই নেতাজিনগরের এই বাড়িতেই থাকতেন নিঃসন্তান দম্পতি। কেমিক্যালের ব্যবসা ছিল তাঁদের। মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশীদের কাছে একাকিত্বের কথা বলে দুঃখও প্রকাশ করতেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তাঁদের বিশাল বাড়ির দিকে নজর ছিল প্রোমোটারদেরও। হামেশাই এসে 'বিরক্ত' করতেন একাধিক প্রোমোটার। তাহলে কি সম্পত্তির জেরেই খুন করা হয়েছে ওই দম্পতিকে? কে বা কারা এসেছিল এ দিন?  টাকা পয়সা, সোনাদানায় হাত দেননি আততায়ীরা তাহলে কি খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ? দানা বেঁধেছে একধিক প্রশ্ন।