কলকাতা : শহরে ফের খুন নিঃসঙ্গ বৃদ্ধা। এবার তালতলার ডক্টরস লেনে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বছর পঁয়ষট্টির আলো মজুমদারকে। লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই এই খুন করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর পঁয়ষট্টির আলো মজুমদার একাই থাকতেন ডক্টরস লেনের বাড়িতে। ছেলে রেলকর্মী, চাকরি সূত্রে ঝাড়খণ্ডে থাকেন। একই বাড়ির ওপরতলায় থাকেন তাঁর ভাই। গতকাল রাতে ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গেই রাতের খাওয়াদাওয়া সারেন বৃদ্ধা। তারপর নিজের ফ্ল্যাটে এসে দরজা বন্ধ করে দেন। আজ সকালে বৃদ্ধার ভাই দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। সাড়া না মেলায় সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘরে ঢুকে বৃদ্ধার মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর ভাই।


দেখা যায় ঘরের দুটি আলমারিরই দরজা খোলা। খোলা রয়েছে ড্রয়ারও। লন্ডভন্ড ঘর। বেশকিছু মূল্যবান জিনিস খোয়া গেছে বলে অভিযোগ। যদিও মহিলার গায়ে থাকা সোনার গয়না সরাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। পুলিসের অনুমান, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এখন প্রশ্ন উঠছে, কে খুন করল বৃদ্ধাকে? আততায়ী কি আলো মজুমদারের পরিচিত? যাকে দেখে নিজেই দরজা খুলে দেন তিনি। নাকি বৃদ্ধার আগেই ঘরে ঢুকে বসেছিল আততায়ী।


আততায়ী যেই হোক, সে বৃদ্ধার গায়ে থাকা সোনার গয়না কেন নিল না? সে প্রশ্নও ভাবাচ্ছে পুলিসকে। সবমিলিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা। মধ্য কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকা। বাড়ির কয়েক মিটারের মধ্যেই পুলিস ক্যাম্প। তারপরেও কীভাবে খুন হলেন বৃদ্ধা? সেই উত্তরই এখন খুঁজছে শহরবাসী।