Mamata Banerjee: `প্রমাণ ছাড়া কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী`, মোদীর তোপের পাল্টা কেন্দ্রীয় দুর্নীতিতে সরব মমতা
বিরোধীদের নিশানার পরই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রমাণ ছাড়া কথা বলছেন। সব মতাদর্শ ভুলে গিয়েছেন। মন্তব্য মমতার। মণিপুর থেকে নোটবন্দি, রাফাল নিয়েও মোদীকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বিরোধীদের নিশানার পরই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রমাণ ছাড়া কথা বলছেন। সব মতাদর্শ ভুলে গিয়েছেন। মন্তব্য মমতার। মণিপুর থেকে নোটবন্দি, রাফাল নিয়েও মোদীকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শনিবার পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে মোদীর মুখে শোনা গেল বাংলার ভোট হিংসা প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর তোপ, অশান্তি পাকিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেস 'রক্তের খেলা খেলেছে'। তারই পাল্টা কেন্দ্রীয় দুর্নীতি নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অডিয়ো বার্তায় সুর চড়িয়ে বলেন, ‘কোনও প্রমাণ ছাড়াই কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি চান, দেশবাসী কষ্টে ভুগুক, মারা যাক, শুধুমাত্র বিজেপির থাকবে দেশে। তিনি তাঁর মতাদর্শ দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।' এমনকী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।
মমতার অভিযোগ, মোদী কখনওই দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেন না। কারণ, তিনি নিজেই অনেক বিষয়ে ঘিরে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মতার্দশ ভুলে যাচ্ছে। পিএম কেয়ার ফান্ড, রাফাল, ডিফেন্স ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দেওয়া, ডিমনিটাইজেশন, নিজেদের সুবিধার জন্য ২০০০ টাকার নোট বন্দি করে দেওয়া সমস্ত বিজেপি করছে। নিজেদের দলের মানুষদের কিছু বলছেন না। মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন। কিন্তু মানুষ এতটা বোকা নন।
অন্যদিকে, দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী অফিসারদের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি প্যানেল। কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। এদিন এই বিষয়েও ট্যুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ট্যুইটে মমতা লেখেন, 'বিচারব্যবস্থার সামনে মাথা নত না করে বিজেপি নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার অরাজকতাকে মাথাচাড়া দেওয়াতে চাইছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রধান বিচারপতির বদলে ওই কমিটিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আসলে ওদের ভোট প্রভাবিত করতে অসুবিধা হচ্ছে। এভাবে বিচারব্যবস্থার অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।'
তিনি বলেন, 'ভারতের বিচার ব্যবস্থার কাছে আমরা কাতর আর্জি জানাচ্ছি। হুজুর, আমাদের দেশকে বাঁচান।'